সপ্তম পরিচ্ছেদ &Sふ প্রাণভয়ে পলায়ন করে, তাঙ্গ হইলে আর্য্যাবৰ্ত্তবাসী কি বলিবে ? বর্ষের পর বর্ষ, যুগের পর যুগ, যতদিন মানবের চিহ্ন থাকিবে, ততদিন নরনারী অকৃতজ্ঞ মাগধসেনার কলঙ্ক ঘোষণা করিবে ।” জনৈক বুদ্ধ সেনানী কহিল, “বাপুচে, তুমিত অনেক বড় বড় কথা বলিলে কিন্তু পলায়ন ব্যতীত উপায় আছে কি ? দুইদিন অন্ন জুটে নাই, স্ত,পমধ্যে বিন্দুমাত্রও জল নাই, এইরূপ অবস্থায় কয়দিন আত্মরক্ষা করিতে পারিব ?” গোল্মিক, বৃদ্ধ সেনানীকে অভিবাদন করিয়া কঠিল, “তাত, আপনি গুরুপাদ, বুদ্ধ ব্যবসায়ে আপনার কেশ শুক্ল হইয়াছে, আপনার মুখে একথা শুনিলে তরুণ মাগধসেনা কি করিবে ? সি প্রা ও শুভ্ৰামতী-তারে গোবিন্দগুপ্তের অদ্ভূত সৃদ্ধ দেখি নাই, চারণের মুখে শুনিয়াছি। কিন্তু বাহুলীকা ও শতদ্রুতীরে এবং সৌরসেন রাজধানীতে চন্দ্র গুপ্তের পুত্রের শৌর্য্য স্বচক্ষে দেখিয়াছি । ভীষণ তুণ-সমরে শত শত যুদ্ধে গোবিন্দগুপ্তের অপূৰ্ব্ব আত্মত্যাগ ও রণ-কৌশল দেখিয়াছি ; আজি BB BBBBK BS BBB BBS BBB BBB DJBB BBBBB পর্য্যন্ত সমগ্র আর্য্যাবৰ্ত্ত হণের পদানত হইত। মাগধসেনা, আজি সেই পিতৃতুল্য গোবিন্দগুপ্তকে মুম্মু অবস্থায় এই বিজন বনমধ্যে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় যাইবে ? মগধ বহুদূর, নরক অতি নিকট,—পলায়ন করিলে কি মরণ এড়াইতে পারিবে ? যদি মরিতেই হয়, তাঙ্গ হইলে বৃথা কেন কলঙ্ক অর্জন করি ? চল মাগধরাজপুত্র, মাগধঅশ্বারোহী, মাগধপদাতিক, একত্রে অগ্নিগুপ্তের পদাঙ্ক অনুসরণ করি। বন্ধুগণ, শুনিয়াছি, সপ্তজন দশসহস্র অশ্বারোহী লইয়া শতদ্রুতীরে শত সহস্র হণের গতিরোধ করিয়াছিল, পঞ্চশত মাগধসেনা আজি কি দশসহস্রের বেষ্টন ভেদ করিয়া চন্দ্রগুপ্তের পুত্রকে গঙ্গা তীবে লইয়া যাইতে পারিবে না ?” s * পশ্চাতে পঞ্চশত, ম"য়ে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল, দুরে বনমধ্যে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।