や88 করুণা না। আমি যে উদ্দেণ্ডে পাটলিপুত্রে আসিয়াছি, তাহ অত্যন্ত গোপনীয় : সুতরাং প্রমাণ না পাইলে আপনাকে কোন কথাই জানাইতে পারিব না ।” “ক্ষতি নাই, কিছু না বলিতে চাহ, প্রস্থান কর।” “আমি যে সংবাদ আনিয়াছি তাই আমার পক্ষে যেমন প্রয়োজনীয়, আপনার পক্ষে তদপেক্ষ অধিকতর প্রয়োজনীয় ” “কিসে বুঝিলে ?” “শুনিলেই বুঝিতে পরিবেন।” “তুমি না বলিলে শুনিব কেমন করিয়া ?” “প্রমাণ ন দেখাইলে তা বলিতে পারিব না।” “তুমি দৌত্যের উপযুক্ত পাত্র বটে, আনন্দরক্ষিত তোমাকে পাঠাইয়াছে ত' ? সে অবশ্যই তোমাকে বলিয়া দিয়াছে যে দামোদরশৰ্ম্ম আপাদমস্তক কৃষ্ণ-বস্ত্রে মণ্ডিত হইয়া সুড়ঙ্গপথে সঙ্ঘারামে আসিত ?” আগস্তৃক এতক্ষণে সঙ্ঘস্থবিরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল এবং কহিল, “প্রস্য, অপরাধগ্রহণ করিবেন না, সংবাদ অত্যন্ত শুভ, সুবরাজ ভট্টারক স্কন্দগুপ্ত মরিয়াছে, গোবিন্দগুপ্তের ও হর্যগুপ্তের কোন ও সংবাদ পাওয়া যাইতেছে না। হণসেনা আটবিক প্রদেশ অধিকার করিয়া মহাকোশল পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছে।” “স্কন্দের মৃত্যুর কোন প্রমাণ পাইয়াছ কি ?” “তাহা না পাইয়া কি জন্য কান্তকুক্ত হইতে পাটলিপুত্রে আসিব ?” “কি পাইয়াছ ?” আগন্তুক বস্ত্রমধ্য হইতে একটি চম্মপেটিকা বাহির করিল এবং তাঙ্গ হইতে একটি লৌহনিৰ্ম্মিত শিরস্ত্রাণের উদ্ধাংশ গ্রহণ করিয়া হরিবলের হস্তে প্রদান করিল। সঙ্ঘস্থবির তাহা গ্রহণ করিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করিলেন এবং পরীক্ষান্তে হতাশ হইয়া কহিলেন, “ইহার সহিত স্কন্দের মৃত্যুর সম্পর্ক কি ?” “ইহা যুবরাজ ভট্টারক স্কন্দগুপ্তের শিরস্ত্ৰাণ ।” “কেমন করিয়া বুঝিলে ?” “প্রমাণ শিরস্ত্রাণেই আছে।” “কিছুই ত’ দেখিলাম না ?” “এখনও সমস্ত দেখেন নাই ।” “আর কি দেখিব, বল ?” “শিরস্ত্রাণের মধ্যে পত্র দেখিয়াছেন ?” “ন’ ”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।