নবম পরিচ্ছেদ HIV মহারাজাধিরাজ কি বলিতেছেন শুন ।” তখনই সেই নগ্নধর্ষ, নগ্নপদ, ছিন্নবসন-পরিহিত যুব ধীরে ধীরে বলিতে আরম্ভ করিল, “তাত, চুণযুদ্ধ এখনও শেষ হয় নাই, সেইজন্য মরিতে পারি নাই । কুললক্ষ্মী বিচলিত। হইয়াছেন দেখিয়া শপথ করিয়াছিলাম, যতক্ষণ দেহে শোণিতবিন্দু অবশিষ্ট থাকিবে, ততক্ষণ কুলগৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠার্থ অসি ধারণ করিব । তাত, মহাবলাধিকৃত অগ্নি গুপ্ত স্বদেশ ও স্বধৰ্ম্ম রক্ষার জন্য তুষার-শীতলসলিল বাহুলীকাতারে আত্মবলি দিয়াছেন, গুপ্তবংশের ভাগবিপর্যায়ে লক্ষ লক্ষ মাগধসেনা পিতৃভূমিরক্ষার্থ জীবন বিসৰ্জ্জন দিয়াছে তাঙ্গতে ক্ষতি নাই, এখনও দামোদর শম্মী জীবিত, স্থাণুদন্ত গরুড়ধ্বজ ধারণে সক্ষন, গোবিন্দগুপ্ত সি পরিত্যাগ করেন নাই—” বুদ্ধ স্থাণুদত্তের দেহ কম্পিত হইল, তিনি বলিয়া উঠিলেন, “কি বলিলে ? গোবিন্দ ?” “মহারাজপুত্ৰ গোবিন্দ গুপ্ত জীবিত ” যুবরাজের কণ্ঠস্বর ডুবাইয়া প্রতিষ্ঠানপুর কম্পিত করিয়া, সহস্ৰ সহস্ৰ, লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে মহারাজপুত্রের জয়ধ্বনি উচ্চারিত হইল, সে কোলাহল প্রশমিত হইতে হইতে একদণ্ড অতিবাহিত হইল । জনসঙ্ঘ স্থির হইলে বৃদ্ধ স্থাপুদত্ত পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলেন, “গোবিন্দ গুপ্ত জীবিত ? সে কোথায় ? নারায়ণ, তুমি তবে মিথ্যা নহ ?” স্কন্দগুপ্ত কঙ্গিলেন, “পিতৃব্য আহত, যমুনার পরপারে তাহাকে শিবিকায় রাখিয়া আসিয়াছি।” নবীন সম্রাটের উক্তির শেষ অংশ শ্রবণ না করিয়াই প্রতিষ্ঠানপুরের আবালবৃদ্ধবনিতা যমুনার পরপারে মহারাজপুত্রের দুর্শনমানসে ছুটিল । সন্ধ্যার প্রারস্তে সহস্ৰ সহস্ৰ শুভ্ৰবস্ত্রাবৃত অশ্বারোক্টা প্রতিষ্ঠানপুরের সম্মুখের প্রান্তরে সমবেত হইল। চারিজন বাহক একখানি শিবিক স্বন্ধে লইয়া নগরের দক্ষিণ তোরুণে প্রবেশ করিল, তাহাদিগের পশ্চাতে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া সমান্তরালে বিংশতিসহস্ৰ শুভ্ৰবস্ত্রাবৃত অশ্বারোহী প্রতিষ্ঠানপুরে
- ఇచి