©(፫8 করুণ প্রবেশ করিল। শিবিকা নগরের কেন্দ্রস্থলে বাসুদেবের মন্দিরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, তখন সহসা সঙ্গীত উত্থিত হইল, মন্দিরের সম্মুখে দাড়াইয়া দ্বাদশজন চারণ উচ্চকণ্ঠে গীত গাঠিতে আরম্ভ করিল। “জয়দৃপ্ত যবন গন্ধার ও উষ্ঠান অধিকার করিয়াছে, তাঙ্গকে দূর করিবে কে ? লিও না, চন্দ্র গুপ্ত জীবিত আছে। মাগধসেনা বীরদপে পঞ্চনদ অধিকার করিয়াছে, তাহারাত আর্য্যাবর্তুের উদ্যান পত্রপুষ্পে সুশোভিত করিবে । সুগের পর সগ মাগধ-সেনা উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিয়া আসিয়াছে, তাহারা আত্মবিস্তুত হয় নাই । চাহিয়া দেখ, বাহুলীক ও কপিশা, যবনকরকবলমুক্ত, চন্দ্রগুপ্ত পুরাকীৰ্ত্তি বিস্তুত হয় নাই ।” سميه “শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিবাহিত হইয়াছে, মগধ কিছুদিন নিদ্রিত ছিল, কিন্তু মনে করি ও না, মগধ আত্মবিস্মৃত হইয়াছে । মগধের সিংহাসনে আবার চন্দ্রগুপ্ত আসিয়াছে, পবিত্র আর্য্যভূমি হইতে অপবিত্র শক বিতাড়িত, সমুদ্র হইতে সমুদ্র পর্যন্ত ও হিমালয় হইতে কুমরিকা পৰ্য্যন্ত চন্দ্রগুপ্তের পুত্রের গরুড়ধ্বজ সম্মানিত, দেবপুত্র শাহীর মস্তক অবনত হইয়াছে, মাগধসেনা আবার উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিতেছে।” “হণ আসিয়াছে, তাহাতে ক্ষতি কি ? শস্তহামলা আর্যভূমি চিরদিন বুভুক্ষিত যাযাবরের লক্ষ্যস্থল। উত্তরাপথে যবন আসিয়াছিল, শক আসিয়াছিল, তাহার কোথায়? সময়ের ভীষণ আবৰ্ত্ত, শক বনরাজ্য রসাতলে পাঠাইয়াছে, আর্যভূমি-আর্যভূমিই আছে।” “আৰ্য্যাবৰ্ত্তবাসি দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ কর, দুঃস্বপ্নের মত আর্য্যাবর্তের অমানিশা অতীত, সম্মুখে জ্যোৎস্নাপক্ষ। আবার মাগধসেনার পদভরে উদ্যান ও কপিশা কম্পিত হইবে, আর্যীরক্তে রঞ্জিত তুষারশীতল বাহুলীকাতীরে মাগধ অস্থিমেদবসানিৰ্ম্মিত প্রাকারের প্লার্শ্বে দাড়াইয়া মাগধসেনা আবার উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিবে !” +
- *