, দশম পরিচ্ছেদ ©( ፃ কুমার হর্ষ গুপ্ত সুবর্ণাধার • সম্রাটের পদপ্রান্তে রক্ষা করিলেন। জাতৃদ্বয় দেহভার বহনে অস্বীকৃত হইল, ধীরে ধীরে উত্তরাপথের একচ্ছত্র সম্রাট তপ্ত সিক্ত জাহ্নবী-সৈকতে উপবেশন করিলেন । গোবিন্দগুপ্ত মুখ ফিরাইয়া লইলেন, দামোদরশন্ম ও রামগুপ্ত অশ মার্জনা করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন শুর্য গুপ্ত সুবর্ণধার উন্মোচন করিয়া কহিলেন, “আৰ্য্য, বহুদিন পরে পট্টমহাদেবী নগরে ফিরিয়া আসিয়াছেন ; পদপ্রাস্তুে অরুণা স্পর্শ করুন " শুস্কনেত্রে কম্পিত হস্তে আধার হইতে ভস্মমুষ্টি গ্রহণ করিয়া স্কন্দ গুপ্ত কঠিলেন, “এই সেই ?” আর একজন গেীরবর্ণ খৰ্ব্বাকৃতি যুব দূরে দাড়াইয়া অনর্গল বৃথা বাক্যব্যয় করিতেছিল, সে এই সময়ে সম্রাটের নিকট ছুটিয়া আসিল এবং বলিয়া উঠিল, “কাদিস না, সে রাগ করিবে । সে আমাকে বলিয়া গিয়াছে, সে আবার আসিবে, আমাকে না দেখিয়া সে মরিতে পরিবে না, তোকে ও ত তাহাই বলিয়া গিয়াছে ?” রুদ্ধবেগ উৎস আর বাধা মানিল না, সম্রাট সংসা শুষ্ক সৈকতের আসন ত্যাগ করিলেন এবং উভয় হস্তে বক্তার কণ্ঠলিঙ্গন করিয়া কছিলেন, “না ভানু, সেত আমাকে তাত বলিয়া যায় নাই। এই সেই ; প্রাসাদের উদ্যানের অন্তঃপুরের, মাতার গর্ভার স্নেহের অরুণ, ভানু, এই সেই অরুণা”, উন্মাদ ভাতুমিত্র সঙ্গস সমাটের বক্ষে হস্তাপণ করিয়া কহিলেন, “শুন, শুন, কি বলিতেছে, ওই দেখ, ভস্ম ধীরে ধীরে অবয়ব গ্রহণ করিতেছে। শুন স্কন্দ, শুন মহারাজপুত্র, ভষ্মমুষ্টি ধীরে ধীরে পট্টমহাদেবীর আকার ধারণ করিতেছে । কি বলিতেছে জান ? শুনিতে পাইতেছ না ? ওরে তোরা শোন, এ ভয় নহে, পরমভট্টারিক পট্টমহাদেবী না, স্কন্দ, এ—এ কে ? চিনি তোমাকে চিনি, অন্তঃপুরে ধ্রুবস্বামিনীর আবাসে অসিত মন্মরে তোমার মূৰ্বি আছে, তুমি কমলদলবাসিনী, তবে ফিরিয়া আসিয়াছ, তবে বিমুখ হও নাই, তবে আবার বালীকাতীরে যাইব, আবার হূণগ্রামনগর ধ্বংস করিব।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।