t দশম পরিচ্ছেদ ৩৫৯ যবনিক । বাঙ্গলীকায় বুদ্ধ অগ্নি গুপ্ত অপেক্ষা করিয়া আছে, তুণরক্তে তাহার তপণ করিতে হুইবে ।” 響 সুবৰ্ণাধার জাঙ্গবীজলে নিক্ষেপ করিয়া সমার্টু অতি পারপদে সৈকতে ফিরিয়া আসিলেন এবং ভানুমিত্রকে কহিtলন “ভানু, বাহুলীকাতারে অনেকের তপণ করিতে হবে । কুষ্ণ গুপ্ত কোথায় ?” বন্ধুবৰ্ম্ম মহা, প্রতাহারকে ডাকিয় আনিলেন, বৃদ্ধ মতা প্রতাঙ্গর আসিয়া নুতন সমাঢ়কে অভিবাদন করিলেন, স্বন্দ গুপ্ত তাঙ্গকে কহিলেন, “পুল্ল শ্লত, বাঙ্গলীক। তীরে মাইতে হইবে, মাগধসেন! আবার উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিবে, আমি একবার পাটলিপুত্রবাসীর সহিত আলাপ করিতে চাহি ।” পুনৰ্ব্বার অভিবাদন করিয়৷ ক্লথ গুপ্ত কঠিলেন “স্থা আজ্ঞা, প্ৰভু !” * দণ্ডপরগণের আহবানে কাতারে কাতারে পাটলিপুত্রবাসী জাহ্নবীর স্রোতের নিকট আসিয়া সমাঢ়কে বেষ্টন করিল, তপন স্কন্দ গুপ্ত বলিতে আরম্ভ করিলেন, “বন্ধুগণ, তোমরা সকলে আমাকে স্নেহ কর, দুরবস্থার তোমরা আমাকে বিস্তুত ক ও নাই, বহুবার বহুবিধ উপায়ে তাত৷ আমি জানিতে পারিয়াছি । প্রাতঃস্মরণীয় পূজ্যপাদ প্রথম চন্দ্র গুপ্ত প্রাচীন পাটলিপুত্র নগর ও পবিত্র মগ ভূমি শককরকবলমুক্ত করিয়া যে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, আজি তাঙ্গার ঘোর ৫দিন উপস্তিত। পবিত্র পিতৃভূমির তোরণরক্ষা মগধবাসীর কৰ্ত্তব্য, সহস্র বর্ষ যাবৎ মাগধ সেনা বাহুলীকা ও বক্ষুষ্টারে উত্তরাপথের তোরণরক্ষা করিয়া আসিয়াছে, আমরা মুহূৰ্বের জন্য সে কৰ্ত্তব্য বিস্তৃত হইয়াছিলাম—” জনসত্তোর সম্মুখে এক বৃদ্ধ নাগরিক দাড়াইয়াছিল, সে উচ্চ কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, “মহারাজ, পাটলিপুত্রে ওকথা বলি ও না, তুমি যদি সে কৰ্ত্তব্য বিস্তুত হইতে তাহা হইলে সাধের পাটলিপুত্র নগর আজি নগরঙ্গার ও পুরুষপুরের মত শ্মশান পরিণত হইত।” হাস্তের ক্ষীণ রেখা সম্রাটের অধরোষ্ঠে দেখা দিয়া তৎক্ষণাৎ মিলাইয়া গেল, স্কন্দ গুপ্ত পুনৰ্ব্বার বলিতে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।