vS)ჯ8 করুণা ছিলেন, জয়ধবলের হস্তে শুভ্র মুক্তাখচিত ছত্র, বন্ধুবৰ্ম্মার হস্তে ইতিহাস প্রসিদ্ধ হৈম গরুড়ধ্বজ, চক্রপালিতের হস্তে শুভ্র চামর, হরিগুপ্তের হস্তে ভগ্নশর্ষ অসি, বুদ্ধ রামগুপ্তের হস্তে মহামুদ্র, কুমার হর্ষগুপ্তের হস্তে পাদুকা, স্থাণুদন্তের হস্তে শূল, তমুদত্তের হস্তে চৰ্ম্ম, জয়ধবলের পুত্র বীরধবলের হস্তে গদা, দামোদর শম্মার হস্তে মালা, ভানুমিত্রের হস্তে চক্র ও নাগদত্তের হস্তে শঙ্খ । দ্বাদশজন প্রধান আর্যাপট্ট বেষ্টন করিলে মহাপুরোহিত পুণ্ডরিক শম্মী স্কন্দ গুপ্তকে সিংহাসনে উপবেশন করাষ্টয়া দামোদর শম্মার মুখের দিকে চাহিলেন । মহামন্ত্রা ইঙ্গিত করিলেন, একজন দণ্ডধর আর্য্যপটের পশ্চাতে শুভ্র যবনিকা উত্তোলন করিল, সুবৰ্ণপাত্রে শত শত নরপতির মুকুট লইয়া মহারাজপুত্র গোপিনগুপ্ত সভামণ্ডপে প্রবেশ করিলেন । সুদুর-বিস্তৃত সভামণ্ডপে সমবেত জনসভব আসন ত্যাগ করিয়া উঠিল, ভীষণ জয়ধ্বনিতে প্রাচীন প্রাসাদের ভিত্ত্বি পৰ্য্যন্ত কম্পিত হইল, মহারাজপুত্র ধীরপাদক্ষেপে আর্য্যপট্রের দিকে অগ্রসর হইলেন । বৃদ্ধ মহাপুরোহিত যথারীতি অভিষেক কার্য সম্পন্ন করিলেন, ক্রিয়া শেষ হইলে দামোদরশৰ্ম্ম কহিলেন, “গোবিন্দ, আজি গুপ্তবংশে রাম সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ, প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মুকুট রামের হস্তে অর্পণ কর।” বৃদ্ধ রাম গুপ্ত করজোড়ে কছিলেন, “পিতৃব্য, রামগুপ্ত আপনার আদেশে একদিন এই আর্য্যপট্টে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মুকুট সমুদ্রগুপ্তের আর এক বংশধরের শিরে স্থাপন করিয়াছিল, কমলা তাহাতে প্রসন্না হন নাই। তাহার ফলে কুললক্ষ্মী বিচলিত হইয়াছেন, মাতৃসমা পট্টমহাদেবীর রক্তে শু্যামামন্দির প্লাবিত হইয়াছে, আর্য্যপট্ট কলুষিত হইয়াছে, দিগন্তবিস্তৃত সাম্রাজ্য ধ্বংস হইয়াছে, লক্ষ লক্ষ মাগধ সেনার রক্তে আর্য্যাবৰ্ত্ত রঞ্জিত হইয়াছে। পিতৃব্য, আজি স্কন্দের অভিষেক, বৃদ্ধ রামগুপ্ত সেইজন্য পাটলিপুত্রে ফিরিয়াছে, নতুবা যে নয়ন পবিত্র আর্য্যপটে ইন্দ্ৰলেখার কন্থাকে দর্শন
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।