, একাদশ পরিচ্ছেদ , ○や○ করিয়াছে, তাহা দ্বিতীয়বার আর্য্যপট্ট দশন করিত না । আপনি গুপ্তকুলের চিরহিতৈষী, যাহাতে সাম্রাজ্যের, ধৰ্ম্মের—অথবা স্কন্দের অকল্যাণ হয়, বৃদ্ধ রামগুপ্তকে এমন আদেশ করবেন না।” দামোদর শম্মী অবনত মস্তকে কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিলেন, পরে কছিলেন, "তাঁহাই ইউক, পরে যেন কেহ না বলে যে, গুপ্তকুলের চিরসেবক দামোদর স্বেচ্ছায় স্বামিকুলের অকল্যাণ করিয়াছিল। গোবিন্দ, গুপ্তকুলের প্রাচীন রীতি তোমার অবিদিত নহে । রাম গুপ্তের পরে সমুদ্র গুপ্তের বংশে তুমি বয়োবৃদ্ধ, প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মুকুট স্কন্দ গুপ্তের শিরে তুমিহ স্থাপন কর।” মহারাজপুত্র কম্পিত পদে আর্য্যপটে আরোহণ করিলেন, সমবেত জনসঙ্গ পুনরায় আসন তাগ করিল, কম্পিত হস্তে গোবিন্দ গুপ্ত স্বন্দ গুপ্তের মস্তকে মুকুট স্থাপন করিলেন । দুই বিন্দু তপ্ত অশ স্কন্দ গুপ্তের গণ্ডে পতিত হইল, সমাটু বিচলিত হইলেন । আশীৰ্ব্বাদ শেষ হলে স্কন্দ গুপ্ত সিংহাসন ত্যাগ করিয়া পিতৃব্যের পাদ বন্দনা করিলেন, উভয়বাহু প্রসারিত করিয়া মহারাজপুত্ৰ গোবিন্দ গুপ্ত নবীন সম্রাটুকে হৃদয়ে আকর্ষণ করিয়া রছিলেন । মগুপে ও বহির্দেশে জনসঙ্ঘ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল । সহসা গুরুভার মুকুট সম্রাটের শিরশ্চত হইল, ক্ষি প্রহস্তে বন্ধুবন্মা তাহ ধারণ করিলেন ; তাহা দেখিয়া দামোদর শম্মী কহিলেন, “মালবরাজ, এমন করিয়াই চিরদিন গুপ্তকুলের মুকুট রক্ষা করিও।” বন্ধুবৰ্ম্মা বাম হস্তে অভিবাদন করিয়া কহিলেন, “পিতামহ, যতদিন জয়বৰ্ম্মার বংশ থাকিবে, ততদিন মালব স্বামিধৰ্ম্ম বিস্কৃত হইবে না। মহারাজাধিরাজ, মগুপের বহির্দেশে সহস্ৰ সহস্ৰ সেনা লক্ষ লক্ষ নাগরিক শতদ্রুযুদ্ধের সেনাপতিকে আর্য্যপটে উপবিষ্ট দেখিবার আশায় অপেক্ষা করিতেছে, তাহাদিগকে আহবান করিব কি ?” সহস্য আবেগ-রুদ্ধ কণ্ঠে গোবিন্দ গুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “বন্ধু, ক্ষণকাল অপেক্ষ কর । পিতৃব্য, স্কন্দ, অভিজাতকুলমণ্ডলী, আজি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পুত্র ব্রত উদ্যাপন করিবে, ভরসা করি উপস্থিত
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।