পঞ্চম পরিচ্ছেদ ○ > ੋ। হইলে হয় ত পাটলিপুত্রে যাইতে হইবে।” “আপনি যখন যাত্রা করেন তখন হ্রণ জাতির কথা কিছু শুনিয়াছিলেন কি ?” “কি বলিলেন?” ব্রাহ্মণ চমকিত হইলেন। “হুণ জাতির কথা কিছু শুনিয়াছিলেন কি?” “এ কথা জিজ্ঞাসা করিলেন কেন ?” “এই কথা জিজ্ঞাসা করিবার জন্যই আপনাকে আহবান করিয়াছি।” বিষ্ণুভদ্র কিয়ৎক্ষণ নীরবে বসিয়া রঙ্গিলেন, পরে ধীরে ধীরে কছিলেন, “সঞ্জাস্থবির, হ্রণ জাতুির জন্যই বাহুলীক তহঁতে পদুপুরে আসিয়াছি এবং হয়ত সুদূর পাটলিপুত্রে যাইব ।” রাহ্মণের কথা শুনিয়া সত্তঘস্থবির স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রঙ্গিলেন, বিষ্ণুভদ ও গৃহস্বামীর মনে ব্যথা দিয়াছেন মনে করিয়া নীরব হ তল্লা রঞ্ছিলেন । প্রদীপের শিখা পবন গিন্নালে নাচিতে লাগিল, সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘাকার সঙ্ঘস্তবিরের দীর্ঘতর ছায়া প্রাচার গাত্রে নৃতা করিতে লাগিল । নাচিতে নাচিতে প্রদীপ নিদাপিত হঠল, তখন ও সঙ্ঘস্থবির চিন্তামগ্ন । অদ্ধ দণ্ড পরে বৃদ্ধরক্ষিত অতিথির খাদ্য লইয়া আসলে তাঙ্গার পদশব্দ শুনিয়া সঙ্ঘস্থবির জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে ?” উত্তর হইল, “আমি বুদ্ধপ্লক্ষিত, অতিথির অহাৰ্য্য আনিয়াছি।” “আলোক নিৰ্ব্বাপিত হইয়াছে, দ্বিতীয় প্রদীপ লভয়া আতস ।” বৃদ্ধরক্ষিত অন্ধকারে গুহ তলে অন্নপাত্র স্থাপন করিয়া আলোকের জন্য ফিরিয়া গেল । সঙ্ঘস্থবির জি জ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কি কল্য প্রাতেই মাত্রা করিবেন ?” বিষ্ণুভদ্র কছিলেন, “হা, কলা, নগরে যাইব এবং বিষয়ুপতির সহিত সাক্ষাৎ করিয়৷ জলন্ধরে যাত্রা করিব । মহাশয়, আমি বিদেশীয়, যদি কোন কথায় মহাশয়ের মনঃপীড়া জন্মাইয়া থাকি—” “ভদ্র, মনঃপীড়া নহে, আপনি যে সংবাদ আনিয়াছেন, তাঙ্গ আর্য্যাবৰ্ত্তের পক্ষে সুসংবাদ নহে, কিন্তু আমি অঞ্চীেবন ইতাবই পানীক্ষা কবিতেচি ”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।