C o করুণা را দিগের কৰ্ত্তব্য শেষ হয় নাই, বাহুল্যক, কপিশা, গন্ধার ও পঞ্চনদ শত্রহস্তগত, করুণা এখনও শক্রভস্তগতা, সম্মুখে বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র, বৃদ্ধকে নিরস্ত করিবার চেষ্টা করি ও না ।” এই সময়ে আর একজন সুব কঠিল, “তাত, আপনি একাকী গোপাদ্রিদুর্গ আক্রমণ করিবেন, আমরা কি রঙ্গালয়ের দশকের ন্তায় মাত্র দূরে দাড়াইয়া তাঙ্গ দেখিব ?” বুদ্ধ কহিলেন, “শুন স্কন, এখন তুমি আর যুবরাজ নষ্ট, সাম্রাজ্যের মঙ্গবলাধিকৃত নষ্ট যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে স্বহস্তে অসিধারণ করিবে। আজি তুমি সসাগর ধরণার অধীশ্বর, লক্ষ লক্ষ নরনারীর হিতাহিত তোমার উপরে নিভর করিতেছে । সতাই রঙ্গালয়ের দশকের স্থায় আজি তোমাকে দূরে দাড়াহয়া গোপাদ্রির যুদ্ধ নিরীক্ষণ করিতে হইবে । না, বৃথা তর্ক করি ও না । পুত্ৰগণ, অদ্য গরুড়ধ্বজ যদি বুদ্ধ গোবিন্দগুপ্তের হস্তচু্যত হয়, তাহা হইলে একে একে গিরিশার্য আক্রমণ করিও, বীরত্বের শঙ্কায় প্রাচীন রণনীতি বিস্তুত হইও না ।” সেই যুবকপঞ্চকের মধ্যে একজন এতক্ষণ কথা কহে নাই, সে এইবার বলিয়া উঠিল, “বুড়া, তুই যাহা বলিয়াছি, তাই ঠিক, কিন্তু আমি তোর কথা শুনিব না, আমি যাইব । আমার সঙ্গে দশ সহস্ৰ নাসীর ও যাইবে, আমি কাহার ও কথা শুনিব না।” বৃদ্ধ কহিলেন, “ভানুমিত্র, আমি তোমার পিতৃবন্ধু, বহু যুদ্ধে অগ্নিমিত্র আমার সহচর ছিল । চপলতা পরিত্যাগ কর, তুমি উন্মাদ নহ, গভার শোক কুছুঝটিকার স্থায় তোমার বুদ্ধি আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে স্থির হও, শুন, বৃদ্ধ গোবিন্দগুপ্ত যদি গোপাদ্রি অধিকার না করিতে পারে, তাঁহা হইলে গোড়ীয় নাসার লইয়া আমার অনুসরণ করিও।” “শোক, কিসের শোক ? তুই ভাবিয়াছিস্ করুণা মরিয়াছে ? অসম্ভব, সে আমাকে বলিয়া গিয়াছে, সে ফিরিয়া আসিবে, সুতরাং সে নিশ্চয় ফিরিবে। বুড়া, আমাকে ধরিয়া রাখিতে পারিবি, কিন্তু দশসহস্র
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।