○" 3 করুণা বসিয়া স্কন্দগুপ্ত নিঃশব্দে অশ্রুবিসর্জন করিতেছেন। বৃদ্ধের কণ্ঠ রুদ্ধ হইল, তিনি ক্ষীণ হস্তে ভ্রাতুপুত্রের হস্তাকর্ষণ করিয়া কহিলেন, “পুত্র, শোক পরিত্যাগ কর । গরুড়ধবজের সম্মান রক্ষা করি ও, দেবতা ও ব্রাহ্মণ, রমণী ও শিশুকে সৰ্ব্বদা রক্ষণ করিও, উত্তরাপথের তোরণ বিস্কৃত তইও না, যাহার জন্য সমুদ্র গুপ্তের বিশাল সাম্রাজ্য ধ্বংস হইল, তাহার যথোচিত শাস্তিবিধান করিও । নারায়ণ—” মুখ হইতে স্রোতের স্তায় রুধিরধারা নির্গত হইল, পরমবৈষ্ণব গোবিন্দ গুপ্ত সম্মুখ যুদ্ধে আহত হইয়া নারায়ণ স্মরণ করিতে করিতে বৈকুণ্ঠলাভ করিলেন। সেই দিন অপরাত্নে পঞ্চ লক্ষ মাগধসেনা চন্দনকাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত চিতা বেষ্টন করিয়া দাড়াইল, হর্ষ গুপ্ত পিতৃমুখে অগ্নিঃযোগ করিলেন, চিতা প্রজ্বলিত হইল । লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে উচ্চারিত জয়ধ্বনিতে পৰ্ব্বতমালা কম্পিত হইল, পৰ্ব্বতকন্দরে লুক্কায়িত কুণসেনা তাঙ্গ শুনিয়া উদ্ধশ্বাসে পলায়ন কুরিল। ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ سیاسی سوس 線 ੱਕੇ উদগুপুরে নগর প্রাস্তে এক শুষ্ক নদীগর্ভে গুইজন ভিক্ষু দূৰ্ব্বাক্ষেত্রে বসিয়াছিল। তাহাদিগের মধ্যে একজন অপরকে জিজ্ঞাসা করিল, “ভদ্র, বেলা অধিক হইয়াছে, নগরে চলুন। শুনিলাম সম্রাট নগরহার অধিকার করিয়াছেন, গরুড়ধ্বজ শীঘ্রই বক্ষুতীরে প্রোথুিত হইবে ; ভদ্র, মগধে আমার কার্য শেষ হইয়াছে, এখন পুরুত্বপুরে, ििड চাহি মহাবীর
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।