ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ©ዓ¢ গোবিন্দ গুপ্ত গোপাদ্রিশার্মে দেহ ত্যাগ করিয়াছেন, কে শকমগুলে মণ্ডলেশ্বর নিযুক্ত হুইবে, তাহার স্থিরতা নাই, যত শীঘ্র সম্ভব, গন্ধারে ফিরিতে চাহি ।” ভিক্ষুর সঙ্গী এতক্ষণ একমনে শুনিতেছিল, সে এইবার কঠিল, “সঙ্ঘস্থবির, বিশেষ কার্যো, পরমভট্টারিকা পট্টমহাদেবীর আদেশে আপনাকে স্থানে আনিয়াছি—” দ্বিতীয় ভিক্ষু বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয়, পট্টমহাদেবী কে ? সমা ত’ দারপরিগ্রহ করেন নাই ?” “সঙ্ঘস্থবির, পরম-সৌগত পরম-ভট্টারিকা পটুমহাদেবী অনন্তদেবীর অাদেশে আপনাকে এই স্থানে লইয়া আসিয়াছি।” “অনস্তাদেব ? তিনি না কারারুদ্ধ ?” “ভগবান বুদ্ধভট্টারকের অনুগ্রহে আর্যায়ুজ পটুমঙ্গদেবীকে কারামুক্ত করিয়াছেন, এইবার বোধ হয়, ভারতবর্ষে সদ্ধৰ্ম্ম পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইবে।” “ভদ্র, আপনি কি বলিতেছেন, তাহা বুঝিতে পারিলাম না, উত্তরাপথে বা দক্ষিণাপথে কি সদ্ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠার অভাব হইয়াছে ?” “ভগবানের রূপায় ব্রাহ্মণগণ অদ্যাবধি সদ্ধৰ্ম্মের হানি করিতে পারে নাই, কিন্তু রাজা বৈষ্ণব, সুতরাং সদ্ধম্মবিদ্বেষী, অতএব সদ্ধৰ্ম্ম যথারীতি প্রচারিত হয় নাই ।” “ভদ, আপনার কথা শুনিয়া বিস্মিত হইলাম, গুপ্তসাম্রাজ্যে বৌদ্ধ, বৈষ্ণব, শাক্ত ও শৈব বহুদিন স্বচ্ছন্দে বাস করিতেছে, রাজা বৈষ্ণব বটে, কিন্তু তিনি ত’ ধৰ্ম্মবিদ্বেষী নছেন।” “কুমারগুপ্ত ছিলেন না বটে, কিন্তু স্কন্দ গুপ্ত বৌদ্ধবিদ্বেষী ।” “প্রমাণ কি ? বৈষ্ণব বা বৌদ্ধ, কেহ কখনও মহাবার স্কন্দ গুপ্তের বিরুদ্ধে একটি কথা উচ্চারণ করে নাই।” “আপনার সম্মুথে নরাধম ভানুমিত্র মহাস্থবির হরিবলকে কি নৃশংসভাকে হত্যা করিয়াছিল, সঙ্ঘস্থবির কি তাহা বিস্মৃত হইয়াছেন ?” “ভদ্র, হরিবল রাজদ্রোহী, তিনি স্বহস্তে সম্রাটের অঙ্গে অস্ত্রক্ষেপণ করুিয়াছিলেন, তিনি অবগু দণ্ডাৰ্চ।” “রাজা যদি তাহাকে দণ্ড দিতেন, তাহা হইলে ক্ষোভের কারণ থাকিত না।” “শুনিয়াছি, ব্যবহারশাস্ত্র অনুসারে রাজদ্রোহী বা রাজঘাতী সৰ্ব্বথা বধ্য ।” s f す。 @
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।