করুণ اما (ای “সত্তঘস্তবির, রাজা যদি বৌদ্ধ হইতেন, তাহা হইলে কি বোধিসত্বপদ সত্তঘস্থবির হরিবলকে সামান্ত ব্যক্তি এমন করিয়া হত্যা করিতে পারিত ? উত্তরাপথে বৈষ্ণব সম্রাটের পরিান্তে বৌদ্ধ সম্রাটের প্রয়োজন হুইয়াছে, নতুবা সদ্ধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধারের আশা নাই ।” “जब्बारे বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিলে সদ্ধৰ্ম্মের পরিবর্ত্তন হইতে পারে বটে, কিন্তু পরমবৈষ্ণব গুপ্তসম্রাটগণ কি মধ্যযান অবলম্বন করিবেন।” “করিবেন কি ? করিয়াছেন ; পটুমঙ্গদেবী অনন্তাদেবী কখনও ত্রিরত্বের আশ্রয় পরিত্যাগ করেন নাই। এখন কোন ও উপায়ে পরমসৌগত মঙ্গরাজাধিরাজ পুরগুপ্তকে সিংহাসনে স্থাপন করিলেই হয় ।” “সৰ্ব্বনাশ, এই ঘোর দিনে অপরিৎ তবয়স্ক ব্যক্তি আর্য্যপট্রলাভ করিলে দেশের যে সৰ্ব্বনাশ হুইবে ? এতদ্ব্যতীত গ্রামে গ্রামে নগরে নগরে মহারাজাধিরাজ নারায়ণের অংশাবতাররূপে পূজিত, সম্প্রদায়নির্বিবশেষে আৰ্য্যাবৰ্ত্তবাসী তাহাকে দেবতারূপে অচ্চনা করে এবং একমাত্র ত্রাণকৰ্ত্ত বলিয়া জানে। তাঙ্গকে সিংহাসনচ্যুত করিতে হইলে যে বঙ্গি প্ৰজলিত হইবে, সমস্ত উত্তরাপথ তাহাতে ভস্মীভূত হইয়া যাইবে, বৈষ্ণব ও বৌদ্ধ উভয়েরই সৰ্ব্বনাশ হইবে।” "কেন সৰ্ব্বনাশ হইবে ? বিচার করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারিবেন। উত্তরাপথে বহু নরপতির স্থান হইতে পারে —” “ভদ্র, বৰ্ত্তমান সময়ে সমবেত উত্তরাপথ তোরণ রক্ষা করিলে, ভারতরক্ষা হইতে পারে নতুবা নহে । উত্তরাপথ যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়, তাহা হইলে বৰ্ব্বর হণ অনায়াসে আর্য্যাবৰ্ত্ত গ্রাস করিবে।” “কুণরাজ বোধ হয় উত্তরাপথের একাংশ পাইলে সন্তুষ্ট হইতে পারেন?” “ভদ্র, একি বলিতেছেন, বৰ্ব্বরহস্তে পবিত্র উত্তরাপথ অৰ্পণ করিয়া কি ফল হইবে ?” “সদ্ধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধার হইবে, আর্যাসজ্যের উন্নতি হইবে।” “তাহা স্বপ্নেও মনে স্থান দিবেন ন, হ্ণ নরঘাতী পশু, তাহার নিকট বৌদ্ধ, বৈষ্ণব ও শৈব অভিন্ন । বালীকু, কপিশা ও গন্ধার হ্ৰণশাসনের কিঞ্চিৎ আস্বাদন পাইয়াছে।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।