পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ów“.. করুণা হরণ করিয়াছি, সেইজন্য সারা জীবন অতৃপ্ত বাসন সৃদয়ে পোষণ করিয়া চলিয়াছি, দূরে ত্ৰিবেণীর অশেষ জলরাশি, চাচিয়া দেখ, অরুণবরণ মেঘের প্রভায় তাঙ্গা হেনাভ হইয়া উঠিয়াছে, আর আমি এই দারুণ গ্রীষ্মে পিপাসার তাড়নায় শয্যা পরিত্যাগ করিয়া তপ্ত পাষাণময় দুর্গপ্রাকারে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছি।” “মহারাজ, দুই দিন বারিবিন্দু গ্রহণ কর নাই, এমন করিয়া কয়দিন চলিবে, তুমি যে এখন ও উত্তরাপথ ও দক্ষিণ পথের একমাত্র ভরসাস্তল ?” “আর চলিবে না, চক্র ৷ তমুদত্ত কল্য সন্ধ্যায় জানাইয়াছে যে, কুপে দুইদিনের পানীয় জল আছে ; তৃতীয় দিনে কৃপ শুষ্ক হইবে।” তোরণরক্ষায় মঙ্গনায়ক মঙ্গবলাধিকৃত মালবরাজ বন্ধুবৰ্ম্ম নিষ্ঠত হইয়াছেন, এই সংবাদ যখন মহারাজাধিরাজ সমীপে নিবেদিত হইল, তখন স্কন্দগুপ্ত পাটলিপুত্রের পথে । মগধ বিদ্রোহী, স্থবির মহামন্ত্রী দামোদর শৰ্ম্ম কারারুদ্ধ, তরুণ পুরগুপ্ত আর্য্যপট্টে উপবিষ্ট । চরণাদ্রি-ছুগের পাদমূলে সম্রাটের স্কন্ধাবার স্থাপিত ছিল, পরদিন স্কন গুপ্ত বারাণসী যাত্রী করিবেন। বন্ধুবৰ্ম্মার দেহত্যাগের সংবাদ শ্রবণ করিয়া সম্রাট প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাবর্তনের আদেশ প্রচার করিলেন। বিস্মিত হইয়া চক্রপালিত জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ, পশ্চাতে শত্র রাখিয়া কোথায় যাইবে ?” ঈষৎ হাসিয়া স্কন্দগুপ্ত কহিলেন, “খিঙ্খিলের সহিত সাক্ষাং করিতে।” “উভয় দিক হইতে শক্রসেনা যে আমাদিগকে পেষণ করিয়া ফেলিবে ?” “চক্র, জানিও মাগধ কখনও স্কন্দ গুপ্তের অঙ্গে অস্ত্রক্ষেপণ করিবে না । আমি তোরণের প্রতীহারমাত্র, সাম্রাজ্যের মহারাজাধিরাজ নহি । চক্র, প্রতীহার কৰ্ত্তব্যপালনে চলিয়াছে তাহাকে বিপথগামী করিতে চেষ্ট' করিও না । যতক্ষণ ইন্দ্রপালিত ছিল, বন্ধুবৰ্ম্ম ছিল, ততক্ষণ নিশ্চিন্তু ছিলাম, জানিলাম, তাহাদিশের দেহে শোণিতবিন্দু অবশিষ্ট থাকিতে খিছিল তোরণপথে পদার্পণ করিতে ভরসা করিবে না। চক্র, মাহুৰ