পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ○brq ভাগ্যদেবীর ক্রীড়াপুত্তলিকা, কে রাজা ? কে বা পথের ভিখারী ? পিতৃব্যের শেষ উপদেশ বিস্কৃত তই ও না, মগধ রসাতলে যাক, আর্য্যপট্ট অতলজলধিজলে মগ্ন চড়ক, যতক্ষণ স্কন গুপ্ত জীবিত থাকিবে, ততক্ষণ উগুরাপথের তোরণ রক্ষিত হবে ।” r. সমাঢ় প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়া আসিলেন, দেখিতে দেখিতে হণসেনা অন্তর্বেদা অধিকার করিল। শূকরক্ষেত্রের দ্বিতীয় যুদ্ধে তমুদত্ত পরাজিত হইলেন, তখন তিন দিক্ হইতে হণসেন প্রতিষ্ঠান বেষ্টন করিল। নগরবাসী নরনারী স্থানান্তরে প্রেরণ করিয়া স্কন্দ গুপ্ত গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীসঙ্গমে অবস্থিত—ভীষণদর্শন প্রতিষ্ঠানদুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । তথম পাটলিপুত্র হইতে মাগধরাজদূত আসিয়া কুণরাজকে অভিবাদন করিল, প্রাকারে দাড়াইয়া অবরুদ্ধ মাগধসেনা সাশ্রনয়নে মগধের অবমাননা দশন করিল । বুদ্ধ স্থাণুদত্ত, প্রৌঢ় ততুদন্ত, উন্মাদ ভানুমিত্র ও চক্রপালিত ও মহাকুমার হর্ষ গুপ্ত, অসি স্পর্শ করিয়া শপথ করিলেন যে, তাঙ্গর যতদিন জীবিত থাকিবেন, ততদিন তৃণপদানত বৌদ্ধ মাগধকে সুখে নিদ্রিত হইতে দিবেন না । বহুক্ষণ পরে স্কন্দগুপ্ত ধীরে ধীরে কঠিলেন, “চক্র, আজি শমনকে নিমন্ত্ৰণ করিতে যাইব ।” চক্ৰপালিত বিযঃ বদনে কহিলেন “মঙ্গরাজ, তাঙ্গ ত নিত্য কৰ্ম্ম, জল অভাবে কয়দিন চলিবে, হুণযুদ্ধ তবে কি শেষ হইয়া আসিল ?” “চক্র, বড় ফু, চাহিয়া দেখ কালিন্দীর কাল জল কেমন করিয়া শুভ্র জাহ্নবীপ্রবাহের সঙ্গিত মিশ্রিত হইতেছে, সৌরাষ্ট্রপতি প্রাকারে দাড়াইয়া দর্শন করিও, অদ্য তৃষ্ণাতুর স্কন্দ গুপ্ত যমুনার শীতল সলিলে সারা জীবনব্যাপী তৃষ্ণ পরিতৃপ্ত করিবে ।” সহসা উচ্চ হাস্তে প্রাচীন দুর্গপ্রাকার প্রতিধ্বনিত হইল, চক্রপালিত কহিলেন, “স্কন্দ্রগুপ্ত, তবে জানিও সৌরাষ্ট্র—বিদ্রোহী, বহুদিন সোরাষ্ট্র পরিত্যাগ করিয়াছি, এ নতুন আর কখনও সৌরাষ্ট্রের শুামা ভূমি দেখিবে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।