&S డా করণ এই সময়ে শঙ্খ ধ্বনিত ষ্টল, সাম্রাজ্যের সেনার তৃতীয়াংশ হর্ষ গুপ্তের অধীনে জাহ্নবী পার হইয়া গেল । দ্বিতীয়বার শঙ্খ ধ্বনিত হইল, অবশিষ্ট্র সেনা তিৰ্য্যকুবুহু রচনা করিল। তখন তিন দিক হইতে তিনখানি কাল মেঘের স্থায় হণসেন তাঙ্গদিগকে আক্রমণ করিল, সহসা বাঙ্কের এক কোণে উন্মাদ ভার্টুমি লম্ফ দিয়া উঠিল, এবং কঠিল “স্কন্দ, কাপালিকের কথা স্মরণ আছে ?” সম্রাট ঈধং হাসিয়া কঃিলেন, " তাঙ্গরই কথা চিন্তা করতেছিলাম।” সন্ধার প্রাক্কাল সেই ক্ষুদ্র বৃহ লক্ষ লক্ষ তৃণসেন কর্তৃক আক্রান্ত হঠল। সে গোষ্ঠনিৰ্ম্মি ত বৃষ্টি টলিল না, কিন্তু আকারে ক্ষুদ্রতর হইতে লাগিলশ বৃষ্টি অতি ক্ষুদ্রাকার ধারণ করিলে হণগণ স্কন্দ গুপ্তকে লক্ষা করিয়া অস্ত্র বর্ষণ করিতে মার স্তু করিল, ভাতুমিত্র তাঙ্গ নিজ বন্মে গ্রহণ করিতে লাগিলেন, হস্ত ও পদ ছিন্ন হইলে তিনি ধূলিশয্যা গ্রহণ করিলেন । তখন ত্ৰিহস্তপরিমিত শর বাম চক্ষু ভেদ করিয়া স্কন্দ গুপ্তের মস্তিষ্ক বিদ্ধ করিল, সাম্রাজ্যের সেনা যে কয়জন অবশিষ্ট ছিল, তাহার। তাহার দেহের চতুদিকে চক্রবৃতি রচনা করিল। তাহাদিগের একজন ও জীবিত থাকিতে পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব পরমমাহেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ স্কন্দ্র গুপ্তদেবের দেহ কলুষিত হুণকরস্পষ্ট হয় নাই । আকাশে অসংখ্য তারকা ফুটিয়া উঠিয়াছে, শীতল সান্ধ্য সমারণে ত্রিবেণীর তপ্ত সৈকত পরিতৃপ্ত হইয়াছে,তখনও সহস্ৰ সহস্র আহত সেন। বেলাভূমিতে পড়িয়া যন্ত্রণায় চীৎকার করিতেছিল। হণযুদ্ধের সেই শেম যুদ্ধক্ষেত্রে উল্কাহস্তে এক-শুভ্ৰবসন রমণী মূৰ্ত্তি কোন আত্মীয়ের সন্ধানে নির্গত হইয়াছিলেন । যেখানে স্কন্দগুপ্ত তনুত্যাগ করিয়াছিলেন, সেইস্থানে আর্যের ও হণের দেহে স্তুপ গঠিত হইয়াছিল, রমণী সেই স্তুপের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল তাহার মধ্য হইতে মৃত্যুযন্ত্রণুকাতর শুষ্ক ওষ্ঠ হইতে ভতি ক্ষীণ স্বরে উচ্চারিত হইতেছিল, **) করুণ ?” রমণীর দেহ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।