ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ৩৫ আচরণে ভীত হইয়। ইষ্টদেবতার নাম স্মরণ করিতে লাগিলু। বিষয়পতি কখনও দ্বিতীয় প্রহরের পূৰ্ব্বে আবাস হইতে বহির্গত হন না এবং তৃতীয় প্রস্তরের পূরে মন্ত্রগুতে আগমন করেন না । বিষয়পতির এমন আচরণ পুরুষপুরের নাগরিকগণ কখনও শ্রবণ করে নাই । তাঙ্গর আগমনের একমুহূৰ্ত্ত পূরে মন্ত্ৰগৃহের সজ্জা শেষ হইল, নগরপাল ও কন্মচারিগণ সম্মুখে আসিয় দাড়াইলেন, বিষয়পতি শিবিক হইতে অবতরণ করিয়া নগরপালকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "সঙ্ঘস্থবির কোথায় ?” নসুরপালু বিস্থিত হইয়া কঠিল, “প্ৰভু, কোন সঙ্ঘস্থবির ?” “কণিষ্ক-বিহারের সঙ্ঘস্তবির,—আমি তাঙ্গর সল্পিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছি।” “র্তাঙ্গকে ত দেখি নাই ।” "সিদ্ধবৃদ্ধিকে বণিয়া দিয়াছি যে মগতে সগ্ৰন্থবিবুর সহিত সাক্ষাৎ করিপ । বেথ তিনি কোথাসু ।” নগরপাল তৎক্ষণাং সঙ্ঘস্থবিরের সন্ধানে যাত্রা করিল। সঙ্ঘস্থবির ও বিষ্ণুভদ্র তখন মন্ত্রগুহের অদূরে দাড়াইয়াছিলেন, কে তাহাদিগের প্রতি দৃকপাত করিল না । সকলেই তাহাদিগের, অনুসন্ধান করিতেছে, অথচ কে তাহাদিগকে কোন ও কথা জিজ্ঞাসা করিতেছে না, দণ্ডধরগণের কথোপকথন শুনিয়া সঙ্ঘস্থবির ইহা বুঝিতে পারিলেন । তিনি কিয়ংক্ষণ পরে একজন দ গুধরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমরা কাঙ্গর অনুসন্ধান করিতেছ?” উত্তর হইল, “কণিষ্ক-বিহারের পূজ্যপাদ সভ্যস্থবিরের ” “আমিষ্ট দেবপুত্র যাঠি-কণিক্ষ-প্রতিষ্ঠিত পুরুষপুর বিহারের মতাস্থবির।” “আপনি ?” “বিস্মিত হইতেছ কেন?” “বৌদ্ধসঙ্গের পরম পূজনীয় স্তবির পদব্রজে একাকী আসিয়াছেনু ?” “হা, তুমি কি সদ্ধক্ষ্মী নহ ?” “ন, আমি বৈষ্ণব ; পাটলিপুত্রে মহাস্থবিরগণ গজপৃষ্ঠে অথবা শিবিকায় প্রাসাদে আসেন।” “ভিক্ষুর যানারোহণ নিষিদ্ধ। তুমি বিষয়পতির নিকটে গিয়া বল যে, আমি উপস্থিত আছি এবং এতগুলি লোক বৃথা কষ্ট পাইতেছে, তৃহাদিগকে নিবারণ কর।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।