88 করুণা তইয়াছে।” “মহারাজাধিরাজ, ইন্দ্ৰলেখার কন্যাকে সমুদ্রগুপ্তের সিংহাসনে স্থাপন, নাটকের প্রথম অঙ্ক মাত্র।” বৃদ্ধ সম্রাট অবনতমস্তকে মন্দিরদ্বারে দঁাড়াইয়া রহিলেন, কিয়ংক্ষণ পরে সম্রাট মস্তকোন্তোলন করিয়া কঠিলেন, “অরুণ, তোমরা মহাদেবীকে লইয়া প্রাসাদে যাও, রাত্রি অধিক হইয়াছে । গোবিন্দ, একজন দণ্ডপরকে আদেশ কর, সে যেন দামোদর শম্মাকে মন্ত্রগুস্তে উপস্থিত হইতে বলিয়া আসে। অরুণ, গোবিন্দ ও আমি দুই দণ্ড পরে অন্তঃপুরে ফিরিব।” সম্রাট ও গোবিন্দ গুপ্ত খামামন্দির পরিত্যাগ করিলেন। একজন দাসী আসিয়া অরুণার ক্ষতস্থান বন্ধন করিয়া দিল । করুণা ও অরুণ’ মঙ্গদেবীকে লইয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । অষ্টম পরিচ্ছেদ দুরাজধানীর ফলাহার মহারাজপুত্র গোবিন্দগুপ্ত যখন নৰ্ত্তকী ইন্দ্ৰলেখার কবল হইতে গুপ্তসাম্রাজ্য উদ্ধারসাধনে ব্যাপৃত,—করুণাদেবী যখন আত্মবিনাশোদ্যতা পট্টমহাদেবীকে লইয়া ব্যস্ত, তখন পাটলিপুত্রের প্রাসাদ-তোরণে একজন গৌড়বাসী ব্রাহ্মণ অত্যন্ত বিপদাপন্ন হইয়া দাড়াইয়াছিল । সন্ধ্যা হইয়৷ গিয়াছে দেখিয়া প্রতীহারগণ তাহাকে প্রাসাদের সীমা পরিত্যাগ করিতে আদেশ করিল। ব্রাহ্মণ তখন কাতর হইয় তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিল, “বাপু, আমি তবে কোথায় যাইব ?” একজন প্রতীহার বিরক্ত হইয়
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।