অষ্টম পরিচ্ছেদ 8 st حسینیه && কঠিল, “তাহা আমরা কি জানি ?” একজন প্রতাহার পরিহাস-রসিক, সৈ কছিল, “চিন্তা কি ? সন্ধা হইয়াছে, শ্বশুরপৃহে যাও।” ব্রাহ্মণ তথাপি গেল না দেখিয়া একজন প্ৰতীহার ক্রুদ্ধ হইয়া কঠিল, "ঠাকুর, কেন অপমান হইবে, স্কত্বর চলিয়া যাও । সুর্য্যাস্তের পরে অপরিচিত লোক প্রাসাদের সীমায় আসিতে পায় না।” ব্রাহ্মণ কeিল, "বাপু হে, আমার কথাটা দয়া করিয়া পোন । গৌড়ের মহাবলাধিকৃত ভালুমিত্র আমার বয়স্ত। আমি তাঙ্গর সহিত আজি অপরাষ্ট্রে রাজপানীতে আসিয়াছি । ঠাকুরাণী যখন আন্তঃপুরে জ্ঞান, তখন আমাকে রথ হইতে নামাইয়া দিয়া বলিয়া গেলেন, "ঠাকুর, তুমি এ স্থানে অপেক্ষা কর, আমি অন্তঃপুরে গিয়া তোমার ব্যবস্থা করিতেছি । আমি সেই জন্যই এই স্থানে বসিয়া অাছি ; কিন্তু আমাকে বোধ হয় আর অধিকক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইবে না, এখনই অন্তঃপুর হইতে দণ্ডধর আসিয়া লইয়া বাইবে । তোমরা অনুগ্ৰছ করিয়া আনুকে আর একটু দাড়াইতে দেও ! আমি বিদেশী, রাজধানীর পথ-ঘাট চিনি না, অন্ধকার হইয়াছে, হয় ত পথ তারাইয়ু বিপদে পড়িব ।” ব্রাহ্মণের কাতরোক্তি শুনিয় জনৈক বুদ্ধ প্রতাহারের মনে দয়ার উদ্রেক হইল, সে কহিল, "ঠাকুর, তুমি অপেক্ষ কর, আমি মহা প্রতাহার ও অন্তঃপ্ৰতীহারের নিকট তোমার কথা জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতেছি।” পূৰ্ব্বোক্ত পরিহাস-রসিক প্রতীতীর কহিল, “দেখ হরিদত্ত, তুমি বড়ই নিরোধ, এই ব্রাহ্মণ নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদ, মি উঠাবু কথা শুনিয়া অনর্থক কেন কষ্ট পাইবে ? আমি উহাকে মারিয়া তাড়াইয়া দিতেছি ।" বৃদ্ধ প্রতীঙ্গর তাহার হস্তধারণ করিয়া কঠিল, “আদিতা, তুমি পাগল, সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে কর্ণাদেবীর রথ অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়াছে, তিরাং এই ব্রাহ্মণের কথা সত্য হইলে ও হইতে পারে । ইহাকে প্রচার করিলে তুমিই হয় ত বিপদে পড়িবে।” বুদ্ধ ব্রাহ্মণকে অপেক্ষা করিতে কহিয়া হরিদত্ত প্রায়ুদাভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। প্ৰহারের কথা শুনিয়া
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।