8b" করুণা তাঙ্গর কয়েকজন অনুচর অপেক্ষা করিতেছিল। চেীরোদ্ধরণিক ব্রাহ্মণকে তাঙ্গদের হস্তে সমর্পণ করিয়া কছিল, “ইহাকে কারাগারে লইয়া যাও, প্রভাতে ইহার ব্যবস্থা করিব।” প্রাসাদের এক পাশ্বে একটি ক্ষুদ্র কারাগুচ ছিল, রাত্রিকালে প্রাসাদ্ধসীমা-মধ্যে ধৃত অপরাধিগণ তাহাতে অবরুদ্ধ থাকিত । কারাগুতে উপস্থিত হইয়া চেীরোদ্ধরণিকের পাশ্বচরগণ দেখিতে পাইল যে, তাহাদিগের বন্দী বঙ্গদেশীয় বহুমূল্য শুভ্ৰ কাষায় পরিধান করিয়া আছে। ঋষভদেব রাজধানীতে প্রবেশ করিবার দিন বহুমূল্য কাৰ্যায় বস্ত্র ও উত্তরীর পরিধান করিয়াছিলেন ; ভানুমিত্ৰ তাঙ্গকে নিষেধ করিয়াছিলেন, কিন্তু ব্রাহ্মণ তাত গ্রাহ করেন নাই । বন্দীর বস্ত্র দেখিয়া একজন দেীবারিক দ্বিতীয় ব্যক্তিকে কহিল, “দেখ বন্ধু, এই ব্যক্তি নিশ্চয়ই উচ্চপদস্থ, এমন শুভ্ৰ কাষায় পাটলিপুত্রে পঞ্চদশ দীনার মূল্যে ও ক্র করিতে পারা যায় না। ইহাকে চোরের দলের সহিত এক গৃহে আবদ্ধ করিয়া কাজ নাই । তাহ শুনিয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি কঠিল, “চোরের দলের সহিত রাখিব না ত কোথায় রাখিব ? উহার জন্য কোথায় রাজপ্রাসাদ সিংহাসন পাইব ? ঘাতক রাজাদেশে যে খড়গ দিয়া যুবরাজভট্টারকপদীয় মহানায়ুকের শিরচ্ছেদন করিয়া থাকে, আবার মহাদ গু নায়কের আদেশে সেই খড়গ সামান্ত নরহন্তার মস্তকছেদন করে । বন্দী সবাই সমান, তুমিও যেমন ?” “ভাই, এই বন্দীটা যেন নুতন ধরণের। পচিশ বৎসর চোর ধরিয়া আসিতেছি, অপরাধীর মুখ দেখিলে চিনিতে পারি। এ ব্যক্তি. কখনই চোর নহে ” “বন্ধু, তুমি বৃদ্ধ হইয়াছ, তোমার মতিভ্রম হুইয়াছে। এই ব্যক্তি কি অপরাধে অপরাধী তাল কে জানে ? যদি পলাইয়া যায় তাহ হইলে ইহার জন্ত হয় ত আমাদিগের উভয়েরই প্রাণদণ্ড হইবে। কারাগারে প্রেম-ভক্তির স্থান নাই ।” দ্বিতীয় ব্যক্তির কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বে প্রথমরক্ষী ঋষভদেবের হস্ত ধারণ করিয়া পাশ্বস্থিত এক বৃহৎ কক্ষে লইয়া গেল। সেই স্থানে একজন
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।