(to করুণা করিয়া কঠিল, “কোথায় যাইব ?” “তোমার নিবাস কোথায় ?” “গৌড়ে ।” “পাটলিপুত্রে কোথায় থাক ?” “কোথাও না।” “তবে বন্দী হইয়াছিলে কেন ?” “তাহাও বুঝিলাম না।” “নগরে কি করিতে আসিয়াছিলে ?” “রাজপ্রাসাদে ফলাহার করিতে।” . উত্তর শুনিয়া সে ব্যক্তি ঈষৎ হাসিল, তাতার পর কহিল, “এখানে দাড়াইয়া থাকিলে এখনই তোমাকে পুনরায় বন্দী করিবে ।” “কি করিব, যখন আশ্রয় নাই তখন কারাবাস ও শ্রেয়ঃ ” “তবে পলায়ন করিলে কেন ?” “তোমরা ছাড়িলে কই ?” “তুমি আমার সহিত আইস, আমি তোমাকে আশ্রয় দিব ।” সে ব্যক্তি চলিতে আরম্ভ করিল, ঋষভদেব উত্তর না দিয়া তাহার অতু - সরণ করিলেন। বহু বক্রগামী অন্ধকারময় পথ অতিক্রম করিয়া উভয়ে অবশেষে একটি অন্ধকারময় ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গুহের সম্মুখে আসিয়৷ দাড়াইলেন । ব্রাহ্মণের সঙ্গী দ্বারে করাঘাত করিল, তৎক্ষণাৎ দ্বার মুক্ত হইলে, উভয়ে গৃহে প্রবেশ করিলেন। দ্বার সশব্দে রুদ্ধ হইল । সেই সময়ে মহাপ্রতীহার কৃষ্ণ গুপ্ত প্রাসাদের তৃতীয় তোরণে প্রতীহারগণকে জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, “যে গৌড়ীয়-ব্রাহ্মণ সন্ধ্যাকালে তোরণে অপেক্ষা করিতেছিল, সে কোথায় গেল ? পট্টমহাদেবীর আদেশ, তাহাকে অন্তঃপুরে লইয়া যাইতে হইবে।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।