নবম পরিচ্ছেদ ද ව কুমার। গোবিন্দ, তুমি একবার এই নুতন বর্বরজাতির কথা লিখিয়াছিলে বটে । গোবিন্দ। হুণগণ প্রতিবর্ষে গ্রীষ্মারস্তে মহানদীর তুষার গলিত হইলে শকাধিকার আক্রমণ করিয়া থাকে। পাঁচ বৎসর পূৰ্ব্বে আমি শকরাজ চক্রের অনুরোধে বাহুলীক তহঁতে এই নুতন বৰ্ব্বরজাতিকে দূর করিয়া দিতে গিয়াছিলাম। পিতৃব্য, তৃণ-কথা ক্ষুদ্র নহে, আপনার আসন গ্রহণ করুন। সম্রাট ও গোবিন্দগুপ্ত, সিংহাসনে উপবিষ্ট চলে দামোদর အေဒြီ၊ কুশাসন গ্রহণ করিলেন। সমাঢ় কছিলেন, "গোবিদ, তুমি শু তথম লিখিয়াছিলে সে হুণগণ যে ভাবে বিধ্বস্ত হইয়াছে, তাহাতে তাঙ্গর আবার কখনও সাম্রাজ্যের সীমা অতিক্রম করিতে ভরসা করিবে বলিয়া বোধ হয় না ।" গোবিন্দ। সচ্ছস সীমান্তের সমস্ত বৰ্ব্বরঞ্জাতি চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে কেন তাহা বুঝিতে পারিতেছি না। গত বৎসর চীনসীমান্ত হইতে বণিক গণ পণ্য লইয়া আর্যাবৰ্ত্তে আদিতে পারে নাই। আমাদিগের স্বাৰ্থবাহগণ বক্ষুতার হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে। মরুভূমির বালুক-সমুদ্রে কেমন করিয়া নূতন তরঙ্গ উঠিয়াছে, তাগ বুঝিতে পারি নাই । দামোদর। গোবিন্দ, সামান্তের বর্বরজাতির চাঞ্চল শকমণ্ডলেশ্বরের নিকট নুতন নহে, ইহার জন্য তুমি চঞ্চল হইয়াছ কেন ? গোবিন্দ। তাত, তৃণজাতিকে বহুবার চঞ্চল হইতে দেখিয়াছি, কিন্তু এমন ভাব কখনও দেখি নাই। জালন্ধরে বিংশুতিবর্ষ অতিবাহিত হইল, বহুবার বহু বৰ্ব্বরজাতির সহিত যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হইয়ুছি, কিন্তু কখনও ভীত হই নাই। এখন শকগণ নিৰ্ব্বীৰ্য্য হইয়াছে, কিন্তু তৃণগণ বীর্যবান। শকসেনা লইয়া হুণগ্লাবন রোধ করা সম্ভব নহে। কুমার। তুমি কি মনে করিতেছ যে হ্ণগণ ভট্টারক সমুদ্রগুপ্তের অধিকার আক্রমণ করিতে সাহস করিবে ? গোবিন্দ। এ বৎসরু করে নাই, কিন্তু আগামী গ্রীষ্মে নিশ্চয় করিবে ।
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।