○や করুণা চারক অভিবাদন করিয়া চলিয় গেল। কিয়ৎক্ষণ পরে সুবর্ণদণ্ড হস্তে জনৈক দণ্ডধর আসিয়া সম্রাটুকে অভিবাদন করিল। কুমারগুপ্ত তাহাকে কহিলেন, “মহাপ্রতাহারকে সম্বর আহবান কর।” কিয়ৎক্ষণ পরে গুপ্তসাম্রাজ্যের মঙ্গপ্রতাহার কৃষ্ণ গুপ্ত মগুপের দ্বারে দাড়াইয়া সম্রাট, মহারাজপুত্র ও মন্ত্রীকে অভিবাদন করিলেন। কুমারগুপ্ত কহিলেন, “কৃষ্ণ, কল্য দিবসের তৃতীয় প্রস্তরে মন্ত্ৰগৃহে সভা আহবান করিতে হইবে। তুমি স্বয়ং সাম্রাজ্যের যুবরাজ ভট্টারকপদীয় ও কুমারপাদায় যে সমস্ত রাজপুরুষ নগলে উপস্থিত আছেন, তাহাদিগকে উপস্থিত থাকিতে বলিবে।" মহাপ্ৰতীহার অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিলেন। সম্রাট পুনরায় সঙ্কেত করিলেন, মূক ও বধির পরিচারকগণ অদৃপ্ত হইল, উল্কাধারা দণ্ডধরগণ ফিরিয়া আসিল। সম্রাট মহারাজপুত্র ও মহামন্ত্রী আসন পরিত্যাগ করিলেন । গোবিন্দ গুপ্ত যখন মন্ত্রগৃহ হইতে বহির্গত হইয়াছেন, তখন একজন প্রতীহার অভিবাদন করিয়া তাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । সম্রাট ও দামোদর শম্মী কিছুদূরে অগ্রসর হইলে প্ৰতীহার কঠিল, “মহা রাজের জয় হউক, একটি রমণী এখনই আপনার সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে ।” বিস্মিত হইয়া গোবিন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “রমণী ?” “ই প্রভূ রমণী, যুবতী সুবেশ ; এই মুহূৰ্ত্তেই আপনার সহিত সাক্ষণং করিতে চাহে ।” “কোন পরিচয় দিয়াছে ?” “না।” গোবিন্দগুপ্ত একজন দণ্ডধরকে ডাকিয়া কহিলেন, “তুমি মহারাজাধিরাজের সমীপে নিবেদন কর যে, আমি অৰ্দ্ধদও পরে অন্তঃপুরে আসিব ।” দণ্ডধর অভিবাদন করিয়া চলিয়া গেল, তখন গোবিন্দগুপ্ত প্রতীহারকে কহিলেন, “রমণী পরিচয় দেয় নাই, কোন চিহ্ন প্রদর্শন করিয়াছে কি ?” “ই প্রভু, রমণী আমাকে একটি সুবর্ণাঙ্গুরীয়ক দিয়াছে।” সৈনিক গোবিন্দগুপ্তের হস্তে একটি সুবর্ণাঙ্গুরীয়ক প্রদান করিল, কিন্তু স্নিগ্ধগন্ধদীপালোকে প্রাকার বেষ্টিত প্রাসাদমধ্যে বহুরক্ষী পরিবৃত হইয়াও
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।