\; a করুণ ভোজন করিয়া থাক ?” “নিত্য ” “এখন খাইবে ?” “পাইব কোথায় ?” “আমার পাত্রে উচ্ছিষ্ট আছে।” ব্রাহ্মণ-কুলজাত বিশ্বেশ্বর দলপতির উচ্ছিষ্ট পাত্র হইতে একখণ্ড শূকরমাংস লইয়া অনায়াসে বদনে নিক্ষেপ করিল, তখন দলপতি হাসিয়া কহিল, “ঠাকুর দেখিলে ?” “তুমি খাইবে ?” “ন৷ ” ব্রাহ্মণ দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া শয়ন করিল। দলপতি উচ্চহাস্ত করিয়৷ উঠিল। কিয়ংক্ষণ অতিবাহিত হইল, ব্রাহ্মণ উঠিল না। তাছা দেখিয়। দলপতি জিজ্ঞাসা করিল, “কি ঠাকুর, খাইবে না ?” ব্ৰাহ্মণ বিষণ্ণবদনে কহিল, “ন : “এইমাত্র যে বলিতেছিলে বড় ক্ষুধা পাইয়াছে।” “তাঙ্গ সত্য ” “তবে খাইবে না কেন?” “বিধাতার ইচ্ছা নতে।” “আমার সম্মুখে খাদ্য রহিয়াছে, আসিয়া খাইয়া যাও।” “মাগধ ব্রাহ্মণ শূকরমাংস থাইতে পারে, গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ খায় না।” “তবে মর।” এই সময়ে শব্বনাগ কহিল, “ব্রাহ্মণকে কিছু থাইতে দাও, আর যন্ত্রণা দিও না।” দলপতির আদেশে একজন মৃন্ময় পাত্রে কিঞ্চিৎ চিপিটক ও গুড় রাখিল । ব্রাহ্মণ বেই পাত্রে হস্তাপণ করিয়াছে, সেই সময়ে কে সজোরে বহিদ্বারে পদাঘাত করিল। তৎক্ষণাৎ সমস্ত আলোক নিৰ্ব্বাপিত হইল । ব্রাহ্মণ সভয়ে আহার্য হস্তে লইয়া উঠিয়া দাড়াইল। পাশ্বস্থ কক্ষ হইতে অন্ধকারে এক ব্যক্তি আসিয়া দলপতিকে কহিল, “চেীরোদ্ধরণিক স্বয়ং আসিয়া গৃহবেষ্টন করিয়াছে, কোনদিকে পলাইবার পথ নাই। দলপতি কহিল, “তবে যুদ্ধ করিব।” প্রথম ব্যক্তি কছিল, “যুদ্ধ বৃথা, আমরা পঞ্চদশ বা বিংশতি জন হইব, কিন্তু বাহিরে শতাধিক সশস্ত্র প্রতীহার দাড়াইয়া আছে ” “তবে কি করিবে ?” "আত্মসমর্পণ ভিন্ন গতি নাই।” “তোমরা আত্মসমর্পণ কর, আমি পলাইলাম। আমি যদি কৃষ্ণগুপ্তের কবলমুক্ত না হই, তাহা হইলে দলের চিহ্নমাত্র থাকিবে না।” “কেমন করিয়া পলাইবে ?” “প্ৰতীহার সাজিয়া।” “আমরা কি দ্বারমুক্ত করিব ?” “না—”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।