や8 করুণা ৷ আদেশ করিলেন.। কৃষ্ণগুপ্ত আসিলে সম্রাটু কছিলেন, “কৃষ্ণ, ব্রাহ্মণকে শত দীনারের পরিবর্তে সহস্র দীনার ভোজন-দক্ষিণা প্রদান কর।” দক্ষিণার পরিমাণ শুনিয়া ঋষভদেব আনন্দে আত্মবিস্তুত হইয়া উচ্চিষ্ট্র হস্তেই আশীৰ্ব্বাদ করিয়া ফেলিন্ত্রেন । একাদশ পরিচ্ছেদ ੋਂ ਵੀ দিবসের প্রথম প্রহরে. সম্ভাবসানে সম্রাট ও গোবিন্দ গুপ্ত অন্তঃপুরে ফিরিয়া আসিলেন। ঋষভদেব তখন পাটলিপুত্রের ক্রোশব্যাপী বিস্তুত বহুমূল্য প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অপূৰ্ব্ব কারুকার্যাশোভিত রাজপ্রাসাদসমূহ দৰ্শন করিয়া বেড়াইতেছিলেন । তিনি শুভ্র মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত অলিন্দে বিবিধবর্ণের প্রস্তর সজ্জায় অঙ্কিত বৃক্ষলতা ও পশুপক্ষী দেখিতেছেন, এমন সময়ে পশ্চাৎ হইতে আহবান হইল, “ঠাকুর ” ব্রাহ্মণ ফিরিয়া দেখিলেন পশ্চাতে গোবিন্দগুপ্ত দণ্ডায়মান । তিনি ঈষৎ হাস্ত করিয়া কঙ্গিলেন, “মঙ্গরাজপুত্রের জয় হউক, কি আদেশ করিতেছেন?” “ঠাকুর, চলুন নগর দেখিয়া আসি ” “মহারাজ, ব্রাহ্মণের অপরাধ গ্রহণ করিবেন না । আপনার নগর অতি কঠিন স্থান, সে নগর-দর্শন দরিদ্র গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ সহিতে পারিবে কি না সন্দেহ ।” “ঠাকুর কোন ভয় নাই, আমার সঙ্গে যাইবেন, রথে যাইবেন ; কোন বিপদেরই আশঙ্কা থাকিবে না।” “মহারাজ, আপনার নগরবাসী, এ নগর আপনাদেরই সহ্য হইবে, আমার
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।