একাদশ পরিচ্ছেদ Wじ守 গুপ্ত’কছিলেন, “আমি বিদেশী, বহুদূর হইতে আসিতেছি, ভিক্ষু, তথাগত গুপ্তের দর্শন প্রার্থনা করি।” “আচাৰ্য্য তথাগত গুপ্ত এখন ক্রিয়ামগ্ন, তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইবে না। তিনি সাধারণ ব্যক্তির সহিত সাক্ষণ । করেন না ” “আমার নাম জানাইলে তিনি আমার সহিত সাক্ষাং করিবেন ?” “তুমি কে ?” “আমি বিদেশীয় ” “কোথা হইতে আসিতেছ?” “জালন্ধর হইতে ” “তোমার নাম কি ?” “মন্দ-মলয়ানিল ।” “তুমি বলিতেছ জালন্ধর হইতে আসিতেছ কিন্তু তোমার কথা তঁ পঞ্চনদবাসীর মত নহে?” “আমি মগধবাসী।” “তবে জালন্ধর হইতে আসিতেছি বলিলে কেন?” “কিছুকাল কাৰ্য্য উপলক্ষে জালন্ধরে বাস করিতেছি।” “তোমার পরিচয় কি ?” “মহাশয়, আপনি অনুগ্রহ করিয়া আচার্য্য তথাগত গুপ্তকে সংবাদ প্রেরণ করুন যে মন্দ-মলয়ানিল তাহার সাক্ষাৎপ্রার্থী, তাহা হইলে আর পরিচয় আবখ্যক হইবে না।” “আপনারা এই স্থানে অপেক্ষা করুন, আমি সংবাদ লইয়া বাইতেছি।” এই বলিয়া সে ব্যক্তি তোরণের পাশ্বে একটি অতি ক্ষুদ্র কক্ষে প্রবেশ করিল। ক্ষণকাল পরে তোরণ উন্মুক্ত হইলে একজন দীর্ঘকায় ভিক্ষুর সহিত পূৰ্ব্ব পরিচিত ভিক্ষু অপর চারি পাঁচজন ভিক্ষুর সহিত মুক্ত তোরণপথে আসিয়া দাড়াইল। দীর্ঘকায় ভিক্ষু জিজ্ঞাসা করিল, “আমার সহিত কে সাক্ষাৎ করিতে চাহে ?” পুৰ্ব্ব পরিচিত ভিক্ষু বৰ্ম্মাবৃত গোবিন্দগুপ্তকে দেখাইয় দিল। তখন দীর্ঘকায় ভিক্ষু গোবিন্দ্রগুপ্তের নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি আমার সাক্ষাৎ প্রার্থন করিয়াছিলেন ?” “হা, আপনিই কি আচাৰ্য্য তথাগত গুপ্ত ” “আমি আর্য্যসজেঘ এই নামে পরিচিত । আপনি যে নাম ব্যবহার করিয়াছেন তাহা কোথায় পাইলেন?” “মুরারি, তুমি কি কণ্ঠস্বর শুনিয়া আমাকে চিনিতে পার ಗಕೆ ?” “ಅಷ್ಟ?” গোবিন্দগুপ্ত গুরুভারু শিরস্ত্রাণ মোচন করিলেন। তাহার মুখ দেখিয় }
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।