o করুণা নদীতীরে গিয়া নৌকা গ্রহণ করিতে হইবে ; প্রকাশুভাবে তোরণপথে বাহির না হইয়া আমাদিগকে কোন গুপ্ত থৈ দিয়া লইয়া চল । বৰ্ম্ম ও বস্ত্রগুলি বন্ধুবৰ্ম্মার গৃহে প্রেরণ কর।” : - মুরারি একজন তরুণ ভিক্ষুকে ডাকিয়া বৰ্ম্ম ও বস্ত্র লইয়া যাইতে আদেশ করিল । তাহার পর গোবিন্দগুপ্ত ও ঋষভদেবের সহিত নিম্নতলে আসিল । সেই স্থানে আর একজন তরুণ ভিক্ষু দীপহস্তে র্তাহাদিগের জন্য অপেক্ষা করিতেছিল। সে তাহাদিগকে লইয়া অন্ধকারমর পথে অগ্রসর হইল। যে স্থানে পথ শেষ হইল তাহা একটা ক্ষুদ্র গৃহ । সেই গুহকোণের সঙ্কীর্ণ সোপানাবলি অবলম্বন করিয়া সকলে দিবালোকে ফিরিয়া আসিলেন । গোবিন্দ গুপ্ত দেখিলেন যে কপোতিক সজঘারামের পশ্চাতে একটি বিপণীতে উপস্থিত হইয়াছেন। তাহারা বিপণী হইতে বাহির হইয়া রাজপথ অবলম্বন করিলেন, বিপণী-স্বামী কোন কথা জিজ্ঞাসা করিল না । গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া মুরারি একখানি ক্ষুদ্র নেীক আনিল, তিন জনে আরোহণ করিলেন ; নৌকা পূৰ্ব্বাভিমুখে চলিতে লাগিল। প্রাসাদ, গঙ্গাদ্বার নগরের পূর্বপ্রাকার অতিক্রম করিয়া নৌকা উপনগরের একটি ঘাটে লাগিল । গোবিন্দগুপ্ত ঘাটের উপরে একটি অট্টালিকামধ্যে প্রবেশ করিলেন । গৃহস্বামী তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল, গোবিন্দ গুপ্ত তাহাকে কহিলেন, “জালন, আমাদিগকে তোমার নির্জন গৃহে লইয়া চল।” মণিকার জাহ্নান তাহাদিগকে দীপালোকিত ভূমধ্যস্থ গৃহে পৌছাইয়া দিয়া প্রস্থান করিল। মহারাজ-পুত্র গৃহতলে বিস্তীর্ণ শয্যায় উপবেশন করিয়া ঋষভদেব ও মুরারিকে উপবিষ্ট হইতে আদেশ করিলেন । র্তাহারা উপবেশন করিলে তিনি কহিলেন, “মুরারি, বিংশতিবর্ষ পরে ইন্দ্রলেখা পুনরায় আমাকে আহবান করিয়াছে।” “আবার ?” “আবার ” “কেন প্ৰভু ?” “প্রেমাভিভাষণের জন্ত নহে। আমাকে হত্যা করিবার জন্ত ।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।