দ্বাদশ পরিচ্ছেদ (: দাড়াইয়া সামরিক প্রথায় অভিবাদন করিল। তাহ দেখিয়া আগন্তুকগণ অত্যন্ত বিস্মিত হইলেন । 曾 নগর মধ্যে পথিকগণ র্তাঙ্গকে দেখিয়া সসম্মানে পথ ছাড়িয়া দিতে লাগিল, বিপণীস্বামী ও কুলবধূগণ দূৰ হইতে র্তাহাকে প্রণাম করিতে লাগিল । আগন্তুকদ্বয়ের বিস্ময় উত্তরে স্তর বদ্ধিত হইতে লাগিল । দুইদণ্ড পরে দামোদর শম্মী রাজপথের পাশ্বস্থিত এক তোরণে প্রবেশ করিলেন । তোরণের পরে একটি বৃহৎ কক্ষে জনৈক দীর্ঘাকার প্রৌঢ় ও একটি গৌরবর্ণ কৃশকায় যুবক তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন, উভয়ে তাহাকে প্রণাম করিলে দামোদর জিজ্ঞাসা করিলেন, “গোবিন্দ, তুমি প্রভৃতে কি মনে ,করির আসিয়াছ ?” “গুল্লতাত, অদ্য বিশেষ প্রয়োজন আছে, আপনার সঙ্গে ইহার কাতারা ? একজন ত পঞ্চনদবাসী গোবিন্দ দেখিতেছি।” “গোবিন্দ, ইনি বাস্থলীকরাজ পঞ্চম বাসুদেবের পুরোহিত, আর ইনি পুরুষপুরের কণিষ্কচৈতোর সঙ্ঘস্থবির। ইহার তোমার সাক্ষাৎ লাভের আশায় পাটলিপুত্রে আসিয়াছেন এবং অদ্য আমার আতিথ্য স্বীকার করিয়া আমাকে কৃতাৰ্থ করিয়াছেন ।” 赛 গোবিন্দগুপ্ত বিষ্ণুভদ্রকে প্রণাম ও বুদ্ধভদ্রকে অভিবাদন করিলেন, তাহা দেখিয় তাহার সঙ্গী যুবকও তদ্রুপ করিলেন। তখন দামোদর শৰ্ম্ম কহিলেন, “স্কন্দ, কি মনে করিয়া ? এখনও বৃদ্ধকে স্মরণ আছে দেখিতেছি ।” * গৌরবর্ণ যুবক যুবরাজ স্কন্দগুপ্ত, তিনি দামোদর শর্মার সম্ভাষণ শুনিয়া কছিলেন, “পিতামহ রহস্ত করিবার সুযোগ পাইলে পরিত্যাগ করেন না ।” “স্কন্দ, রহস্ত করিবার সময় এইমাত্র আরম্ভ হইয়াছে, অগ্রে অরুণার বিবাহ হউক তাহার পরে বৃদ্ধ পিতামহের রহস্ত করিবার শক্তি যে কতদূর তাহা বুঝিতে পারিবে। আমরা গুরুগৃহে প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করিতাম কিন্তু তোমার পিতামহীর আবির্ভাবের পরে দিবা দ্বিতীয় প্রক্টর গত না &い
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।