চতুর্দশ পরিচ্ছেদ bra হইয়াছে'সমস্ত প্রস্তুত।” দীর্ঘাকার পুরুষ কহিলেন, “মুরারি, কোন পথে যাইতৃে হইবে ?” g মুরারি। পূৰ্ব্বের ন্যায় বাতায়নপথে রজ্জ্বনিৰ্ম্মিত অবতরণিক। প্রস্তুত আছে । e অক্ষয় । প্রভু, এখন আর বা তায়ন-পথের আবগুক নাই, ইন্দ্ৰলেখা এখন গণিকা । মুরারি। তাহা কাহার অবিদিত নাই, তুমি এই কক্ষে অপেক্ষা কর, আমরা ফিরিয়া না আসিলে'বিপণীতে যাইও না। প্রভু মাস্থন । মুরারি বাতায়ন-পথে নিষ্ক্রান্ত হইলে গোবিন্দ গুপ্ত ঋষভদেবুের সহিত তাহার অনুসরণ করিলেন। বাতায়ন-পথে রঙ্গু নিৰ্ম্মিত অবতরণিকা লম্বিত ছিল, ঋষভদেব তাহাতে পদার্পণ করিবামাত্র তাহা বেগে ইতস্ততঃ আন্দোলিত হইতে লাগিল । ব্রাহ্মণকে পতনোন্মুখ দেখিয়া গোবিন্দ গুপ্ত তাহাকে এক হস্তে উঠাইয়া লইয়া দ্রুতপদে ভূমিতে অবতরণ করিলেন। অক্ষয়নাগের বিপণীর পশ্চাতে একটি আম্রকানন, নিশীথ রাত্রিতে তাহ অন্ধকারময়। গোবিন্দ গুপ্ত পূৰ্ব্বপরিচিত পথে নিঃসঙ্কোচে অগ্রসর হইতেছিলেন, কিন্তু মুরারি তাহাকে নিষেধ করিল ; সে কহিল, “প্রভু, আপনার অগ্রবর্তী হইবার প্রয়োজন নাই। অল্পকাল পুৰ্ব্বে এই পথে মানুষ চলিয়াছে।” গোবিন্দ গুপ্ত বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি প্রকারে জানিলে ?” “সন্ধ্যার পরে এই পথে অনেকগুলি উপলখণ্ডের প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছিলাম, সেগুলি কে পদাঘাতে নষ্ট করিয়াছে।” “কয়জন গিয়াছে বুঝিতে পারিতেছ?” “প্রাচীরগুলি মাত্র দুই স্থানে ভাঙ্গিয়াছে।” “সন্ধ্যার পরে কি এ পথে কেছ আসে না ?” “অক্ষয়নাগের উদ্যানে প্রেতের উপদ্রব হয়, সেই ভয়ে নাগরিকগণ সন্ধ্যার পরে এই দিকে আদিতে চাহে না।” “একজন মনুষ্যের জন্য প্রাণভয়ে ভীত হইবার
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।