- চতুর্দশ পরিচ্ছেদ તે છે শুভ্ৰ-বসনপরিচিত মনুষ্য বুঝিতে পারিলেন না । এই সময়ে পূৰ্ব্বোক্ত কৃষ্ণবঙ্গাবৃত পুরুষ, চৈতোর অন্তরাল ত্যাগ করিয়া ইহাদিগের সহিত মিশিয়া গেল। যে সকল অস্থধারী বৃক্ষে আরোহণ করিয়াছিল, তাঙ্গরাও আপাদমস্তক কৃষ্ণবস্ত্রে মণ্ডিত হইয়া আসিয়াছিলৎসুতরাং তাহাকে কেহই চিনিতে পারিল না । শুভ্ৰবস্থারত মনুষ্যমূৰ্ত্তি গোবিন্দগুপ্তের নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, "তুমি কে ?” “মন মলুয়ানিল ” “সত্য কি তুমিই সেই ?” “তুমি কে ?” “আমি কুসুম সুরভি ” “প্রমাণ ?” 象 বস্থারত রমণীমূৰ্ত্তি একখানি সুন্দর গৌরবর্ণ হস্ত বাতির করিয়া একটি বুঠং মৃবর্ণের অঙ্গুরীয়ক দেখাইল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার প্রমাণ ?” “বিংশতিবর্ষ পূৰ্ব্বে যে দিন শেষ এই স্থানে আসিয়াছিলাম, সে দিন কুসুম সুরভির পরিবর্তে নটফন্তুযশ অসিহস্তে আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল – “যথেষ্ট হইয়াছে, মহারাজ-পুতু মার্জনা কর।” “ইন্দ্ৰলেখা, তুমি আমাকে আহবান করিয়াছ কেন?” “বহুদিন দেখি নাই।” “তুমি ত ইচ্ছা করিয়াই ত্যাগ করিয়াছিলে ।” $ রমণী ঈষং কম্পিতকণ্ঠে কহিল, “অপরাধ করিয়াছি—তাহার কি মার্জনা নাই ?” “শুন ইন্দ্রলেখা, শুনিয়াছি ফন্তুঘশ তোমাকে নাট্যশাস্ত্রে পারদর্শী করিয়াছিল। বৃথা রোদনের উপক্রম করিতেছ, শীঘ্রই আমাকে জালন্ধরে ফিরিতে হইবে, সময় নষ্ট করিও না। আমাকে কেন আহবান করিয়াছ বল ।” 發 রমণী বস্ত্রাঞ্চলে চক্ষু মার্জন করিতে করিতে কহিল, “সত্যই,—সত্যই —দেখিব বলিয়া—আসিতে অনুরোধ করিয়াছিলাম ; মহারাজ-পুত্ৰ— তুমি—এত নিষ্ঠুর,—যদি—অপরাধ করিয়া—থাকি-মার্জনা করিও —” গোবিন্দগুপ্ত হাসিয়া কহিলেন, “ইন্দ্ৰলেখা, সত্য সত্যই তুমি নাট্যশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, বিংশতিবর্ষ পরে আমি ত নিষ্ঠুর হইবই, ইহাই নারীজাতির
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।