পাতা:কর্ণাটকুমার.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণাট কুমার। ১৯ রঞ্জন। উজ্জয়িনী রাজ ! যখন আমি আমার সেই প্রতাপানৃিত মহাবল পরাক্রান্ত পিতার পরম শত্রুর রাজ্যে অপরাধীর মত দণ্ডায়মান আছি, তখন আমি আপনাকে যথেষ্ট দণ্ডিত বলিয়া জানিয়াছি। আমাকে বিধাতাই দণ্ড দিয়াছেন, আপনি আর অধিক কি দণ্ড দিতে পারেন ? রাজা। রঞ্জন ! তুমি বালক, তাই আমার সমক্ষে এরূপ উত্তর - করলে। ভেবে দেখ, তোমার পিতা কি পৰ্য্যন্ত না দুষ্কৰ্ম্ম করেছে ? সেই সকল কথা আদ্যোপশন্ত স্মরণ হলে, আমি ক্রোধে অধীর হয়ে উঠি, শরীরের শোণিত দ্বিগুণ বেগে প্রধাবিত হয়। যা হোক, সে পিশাচ যে দৈবামুগ্রহে আমার হস্তগত হয় নাই এ তার পরম ভাগ্য, এখন বল, কিরূপ দণ্ড বিধান করলে তোমার পিতার মহাপাতকের প্রায়শ্চিত্ত ছয় ? রঞ্জন । মহারাজ ! আপনি বিচারক হয়ে সিংহাসনোপবিষ্ট আছেন, আর আমি দণ্ডনীয় হয়ে আপনকার সমক্ষে দণ্ডায়মান আছি, আপনি এখন যা ইচ্ছা বলিতে পারেন । ব্যtধকৃত বাগুরা জাল বদ্ধ সিংহ শাবককে দেখিয়া শৃগালও যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে পারে। আপনি এখন যাহা বলিবেন অবস্থা গতিকে তাহাই শোভা পাইবে । রাজা । রে পামর ! তোর এত বড় স্পৰ্দ্ধা, দেখছি তোর নিতান্তই চুবুদ্ধি ঘটেছে। ঘাতক । ঘাতকঁ! বীর। মহারাজ ! ক্ষমা কৰুন ! ক্ষমা কৰুন ! রাজ পুত্রের প্রাণ দণ্ড করিবেন না । এর প্রাণ দণ্ড করিলে, ধাত্ত