পাতা:কর্ণাটকুমার.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণাট কুমার। 》 ধৰ্ম্ম । আমি যখন এ রাজ বাটতে প্রবেশ করিছি তখনি আপনাকে মৃতকল্প নিৰ্দ্ধারণ করিছি। । রাজা। রঞ্জন ! বীরশ্রেষ্ঠ অমরকেতনের মুখে যদি তোমার ক্ষত্রোচিত বল বিক্রম ও যুদ্ধনিপুণতার পরিচয় না পাইতাম্, আর তোমার বয়সের অনাধিক্যতা প্রযুক্ত সভাসদবগের যদি তোমার জীবনের উপর মমতা না জন্মিত, তা হলে এখনি তোমার প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দিতাম ; কিন্তু, এখন তুমি পরম সৌভাগ্য বলে জেনে, যে আমি তোমাকে সে নিদাৰুণ আজ্ঞা না দিয়া, যাবজ্জীবন শৈলেশ্বরের দুর্গে কারাবাসের আজ্ঞা দিলাম। রঞ্জন । মহারাজ ! আপনি যে দণ্ডবিধান করলেন, ইহাতে আমি আপনাকে প্রকৃত পক্ষে পরম দুর্ভাগা বলিয়াই জানিলাম; যেহেতু, আপনি পারিষদবর্গের অভিপ্রায়ানুসারে আমাকে মৃত্যু দণ্ড দিভে পর্যন্মুখ হলেন । অধীনতাই যখন মৃত্যু, তখন মৃত্যুর আর কি অবশিষ্ট রছিল ; ইছা অপেক্ষ মৃত্যুই আমার পক্ষে সহস্রাংশে শ্রেয়স্কর ছিল । দ্বার। মহারাজ ! যদি অনুকম্প প্রকাশ করে কর্ণাট রাজপুত্রের মৃত্যু দও উপেক্ষা করলেন, তবে দাসের এই প্রার্থনা, যুবরাজের শৃঙ্খলোন্মোচনের আজ্ঞা কৰুন। রাজা। বীরবল্লভ ! তোমার প্রার্থন। আমি গ্রাহ্য করিলাম। প্রধান সেনাপতি ও তোমা হইতে যে আমি এই প্রভূত জয় লাভ করিছি, তা আমি বেস অবগত আছি; অতএব তোমার প্রার্থনা অপূর্ণ রাখতে আমি ইচ্ছা করি না,