পাতা:কর্ণাটকুমার.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ কর্ণাট কুমার। তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, তুমি উহার শৃঙ্খলোৰ্ম্মোচন করে দাও । বীর । অপরাধীর প্রতি এরূপ কৰুণা প্রকাশ ! আজি এ দাস রঞ্জন । আপনাতে এ মহানুভাবত ও ঔদার্য্যের পরিচয় পাইয়া জানিল যে উজ্জয়িনী রাজসিংহাসন উপযুক্ত হস্তেই পতিত হইয়াছে। অমরগণ বেষ্টিত মহেন্দ্রের ন্যায় সুশোভিত হয়ে আপনার কীৰ্ত্তি কলাপ যে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় থাকবে তার আর সন্দেহ নাই । উপবিষ্ট হইয়। রঞ্জনের শৃঙ্খলোন্মোচন। বীরবল্লভ ! এই জন্যই কি তুমি সেই কর্ণাটীয় তুমুল সংগ্রামে আমার শরীরে অস্ত্রাঘাত করিতে সমধিক সতর্ক হয়েছিলে ? অামাকে বদ্ধ করে অবশেষে এরূপ দুৰ্ব্বিসহ যন্ত্রণ দেওয়া কি তোমার অভিপ্রেত ছিল ? আমি কি ইনভেজ হয়েছিলেম না তোমার নিকট জীবন ভিক্ষণ চেয়ে ছিলেম । তেজোবিহীন হয়ে ক্ষত্রোচিত যুদ্ধধর্মের কি কিছু গৰ্হিভাচরণ করেছিলাম যে, সেই জন্যে, সেই মহাপাতক জন্যে, তুমি আমার এই ঘৃণিত অত্যন্ত অশ্রদ্ধেয় পাপজীবন যাচ্‌এপ্‌ করিলে। ধিক্ আমার জীবনে ! এখন তুমি আমাকে যেখানে ইচ্ছা লয়ে যাও যেখানে রাখিতে হয় রাখ, রঞ্জনের দেহ মাত্র তোমার হস্তে রছিল, রঞ্জনের প্রাণ বায়ু সেই কর্ণাট চতুঃসীমার মধ্যেই বিচরণ করিতেছে কখনই অন্যত্র সঞ্চরণ করিবে না ।