পাতা:কর্ণাটকুমার.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8° কর্ণাট কুমার । করে বেড়াচ্ছে, অদূরে নির্বরিণীর প্রপাত শব্দ কর্ণকুহরে মধুবর্ষণ করছে। মুমদ মলয় প্রবাহে মন প্রাণ স্বিন্ধ হচ্ছে। আবার চতুদিক বন-কুসুম সোঁরতে আমোनिऊ করে তুলেছে। বোধ হচ্ছে যেন প্রকৃতি-সতী মূৰ্ত্তিমতী হয়ে সেই গুণময়ের গুণ-কীৰ্ত্তন করছেন! তপস্যারত এই উপযুক্ত স্থান। মনের স্থৈৰ্য্য ও একাগ্ৰতা এখানে . সহজেই সম্পাদিত হয় ; বৃদ্ধরাজর্ষি এখানে এক প্রকার মনের সুখে আছেন ইহা বেস বোধ হচ্ছে। কি আশ্চর্ঘ্য ; এখানে এসে আমারও হৃদয়ে ভাবান্তর উপস্থিত হোল । সংসার আশ্রমে থেকে সদত বিষম বিবর চিন্তার নিমগ্ন হয়ে এ দন্ধ হৃদয় ভ্ৰমেও ত কখন ঈশ্বর চিন্তায় ধাবিত হয় নাই ; কিন্তু এ বিজন বিপিনে এসে কে যেন আমার মনকে সেই পদে আকর্ষণ করছে। এত বিপৎপাতের সময়ও আমার মনে যেন কি অননুভূত অপরিসীম আনন্দ সঞ্চার হচ্ছে । রে পাপাত্মা! একবার মুহুৰ্ত্ত জন্যেও সে নাম স্মরণ কর। . গীত। রামকেলী—কাওয়ালি । লওরে বলি বারে বার তারি নাম, 'চলে কল্লোলিয়া কালোর স্রোত ছাড় ছাড় মায়া মোহ ভাবনা আরে মন দুরাচার, ভবে ভাব ভূবনপতি আসার ংসার ॥