পাতা:কর্ণানন্দ.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ ՀԵ- কর্ণানন্দ । চেতনে ॥” অন্তর্দশ বাহ্যদশা তাহার প্রমাণ ।। ५६ মত কবিরাজের জানিবা বিধান । সিদ্ধ হইয়। সাধক ঘিঁহে। কি ইহার বিস্ময় । প্রাকৃতে এসব কাৰ্য্য কভু নাহি হয় ৷ অতএব সব কথা বড়ই দুর্গম। যথার্থ স্থদূঢ় এই রঘুনাথ নিয়ম ৷ প্রেমবিলাসে ইহা ন কৈল প্রকাশে প্রথমে লিখিলা কিছু না লিখিলা শেষে ॥ ইহা শুনি রামচন্দ্র আনন্দ অন্তরে । দণ্ডবৎ হইয় পড়ে ভূমির উপরে ॥ প্রভু নিজপদ তার মস্তকে ত দিয়া। হর্ষে গাঢ় আলিঙ্গন কৈল উঠাইয়। প্ৰভু কহে শুন রামচন্দ্র কবিরাজ। এই সব কথা তুমি রখে হৃদি মাঝ ॥ তবে প্রভু ক্রীরামচন্দ্রের হাতে ধরি। কহিতে লাগিল৷ কিছু বচনমাধুরী ॥ আমার সদৃশ তুমি সৰ্ব্ব গুণধর । মোর মনোবেদ্য তুমি কি কহিব আর ॥ তুমি বিনা অন্য ন। জানে কদাচিৎ । তুমি মোর প্রাণ ইহা কহিল নিশ্চিত ॥ মোর গণ তোমার মত লইবে যেই জন । সেই সে হুইব মোর কৃপার ভাজন ॥ শ্রদ্ধা করি এ প্রসঙ্গ যেই জন শুনে । সেই ভাগ্যবান পায় প্রেম মহাধনে ॥ ঐরাপের অদ্বৈত দেহ যেই রঘুনাথ । শুনিয়াও রামচন্দ্র মানিলা কৃতার্থ। এসব প্রসঙ্গ আমি যে কিছু শুনিল। অল্পাক্ষরে সেই কথা তোমারে কহিল ॥ নিত্যসিদ্ধ যেই, তার ইথে কি বিচিত্র। কর্ণরসায়ণ এই পরম পবিত্র ॥ শ্ৰীমতীর মুখে বাক্য এতেক শুনিয়া । পরাণ জুড়াইল মোর শ্রবণ করিয়া ॥ শুন শুন ভক্তগণ করি নিবেদন । সন্দেহ ঘুচিল মোর করি আস্বাদন ॥ মুখচন্দ্র আজ্ঞামৃত পাইয়া। প্রাণরক্ষা হুইল মোর স্বপ্রসন্ন হিয়া ॥ এই ত কহিল মোর সন্দেহ ছেদন । কুতর্ক ছাড়িয়া