o কপূৰ্ব-মঞ্জরী। রাজ –কথার চতুরতা, বিচক্ষণ বিচক্ষণাই বটে! কি আর বল্য, বিচক্ষণ কবিগণেরও কবি ; দেবী।–(উচ্চৈঃস্বরে হাসিয়া) ও একজন কবি-চূড়ামণি ! বিদুৰক –(সক্রোধে) সোজা কথা দেবী কি তবে এই কথা বলছেন "যে কবিতায় বিচক্ষণ অতি উত্তম, আর ব্রাহ্মণ কপিঙ্গল অতি অধম ? বিচক্ষণ –ঠাকুর । রাগ কোরো না। কবিতাঠেষ্ট কবির কবিত্ত্ব জানা যায়। নিজ কাস্তার মনোরঞ্জনযোগ্য হলেও, সুকুমার ੋ` থাকৃলেও, কবিতার মধ্যে নিজ উদর পুরণের কথা থাকাটা নিন্দনীয়। সে কেমন ?—ন, যেমন লম্বিত-স্তন রমণীর একাবলী হার পর, লম্বোদরীর কাচুলী পব, বৃদ্ধার কটাক্ষ হান, চুল-কাটা মেয়ের মালতী ফুলের মাল পর, কানার চোখে কাজল দেওয়া,—এ সব কিছুতেই মানায় না । ৰিক –কিন্তু তোমার কবিতার ভাব সুনীর হলেও তোমার শব্দগুলি সুন্দর নয়। সে কেমন –না যেমন, সোণার কোমরবন্ধে লোহার | খণ্টি ঝোলানো, পট্টবস্ত্রে তসর বোন, গৌরাঙ্গীর চন্দন-চর্চ ;–এ সবও মানায় না। তবুও তো লোকে তোমার প্রশংসা করে । বিচক্ষশ —ঠাকুর, রেগে না। তোমার সঙ্গে কি আমার টঙ্করাটারি চলে। নিরক্ষর হলেও, লৌহ শলাকার মত, ভূমি ੰ` নিয়োজিত, আর আমি লন্ধাক্ষর হলেও, তুলার মত আমাকে কেউ সোণার উড়ে স্থাপন করে না। বিদূষক —আমাকে তুই এমন কথা বমি, রোলু আমি যুধিষ্ঠিরের জোঃ ভ্রাতা নামক ভোর দুষ্ট অঙ্গ (অর্থাৎ কর্ণদ্বয় ) এখনি উৎপাটন করি । বিচক্ষণ --আমিও, উত্তর ফাৰুণীর পরে যে নক্ষত্রটি, সেই নক্ষত্র নামক তোমার অঙ্গটিকে ভেঙে দি (অর্থাৎ হস্ত, কি না হাত ভেঙে দি)।
পাতা:কর্পূর মঞ্জরী.djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।