পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
কলিকাতার ইতিহাস।

একজন রেকর্ডার ছিলেন। হলওয়েল সাহেব তাহার সুহৃৎ ও সহচর হলেন। নবাব সিরাজুদ্দৌলা যৎকালে ১৭৫৬ অব্দে কলিকাতা আক্রমণ করেন, তৎকালে তিনি স্বেচ্ছাপ্রবৃত্ত সৈনিকরূপে অস্ত্রধারণ করিয়াছিলেন। শ্রমশীলতা দ্বারা তিনি প্রচুর ধনের আধিকারী হইয়াছিলেন। তাঁহার সম্বন্ধে একথা অনায়াসেই বলা যাইতে পারে যে, সৌভাগ্যলক্ষ্মী তাঁহা অপেক্ষা যোগ্যতর বরপুত্রের প্রতি কখনও প্রসন্ন হন না: তাঁহার সকল সাধু কার্য্যের উল্লেখ করা দুঃসাধ্য। দীন দুঃখীর ক্লেশ অপনোদনে নিমিত্ত তিনি যথোচিত ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। “যাহারা এক সময়ে সুখের মুখ দেখিয়াছে, যাহাদের প্রতি ভাগ্যলক্ষ্মী বিরূপ হইয়াছে, চার্লস ওয়েষ্টন তাহাদের দুঃখমোচন করেন।” তাঁহার বন্ধুবান্ধব ও অনুচর সহচরগণকে তাহাদের অভাবের সময়ে তিনি অকাতরে সাহায্য করিতেন! এই সকল কারণে অনেকে কৌতুক করিয়া যে তাঁহাকে মানবের সাধারণ বন্ধু’ নাম রাখিয়ালিন, তাহা অসঙ্গত হয় নাই। কর্ণেল স্টুয়ার্ট পূণ্যানুষ্ঠান ও বিনয়প্রদর্শন দ্বারা সকলেরই হৃদয়ের অনুরাগ আকর্ষন করিয়াছিলেন। তিনি কৃষ্ণ ও খৃষ্টকে তুল্যরূপ ভক্তির চক্ষে দেখিতেন। এজন্য তিনি 'হিন্দুষ্টুয়ার্ট’ নাম প্রাপ্ত ইয়াছিলেন।

 অন্যান্য জাতীয় সাধু পুরুষেরাও নানাবিধ সংকার্যের অনুষ্ঠান করিয়া গিয়াছেন। সে সমস্ত সবিস্তারে উল্লেখ করা অনাবশ্যক বটে, অসম্ভবও বটে। এই দুই চারিটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিলেই যথেষ্ট হইবে! কীর্ণ্যাণ্ডার নামক একজন পর্তুগীজ ১৭৫৮ অব্দে এদেশে আগমন করেন। তিনিই কলিকাতার প্রথম প্রোটেষ্টাণ্ট মিশনারী। তিনি যষ্টি সহস্রাধিক সিক্কা টাকা ব্যয় করিয়া ১৭৬৭