ব্রাহ্মণ এই দেবীর পূজায় দশ হাজার টাকা ব্যয় করেন; কিন্তু তিনি নিজে বৈষ্ণব ছিলেন বলিয়া কোনও পশু বলি দেন নাই। কেবল হিন্দুরাই যে এই কাল পাথরের পুজা করে, তাহা নহে; আমি অনেকবার শুনিয়াছি যে ইউরোপীয়েরা, অথবা তাহাদের এতদ্দেশীয় উপপত্নীরা, এই মন্দির দর্শনে গমন করে এবং পুজায় সহস্র সহ মুদ্রা ব্যয় করে। আমি যে ব্রাহ্মণের নিকট বসিয়া এই বিষয় লিখিতেছিলাম, তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি যখন কালীঘাটের নিকট বড়িশায় থাকিয়া পড়িতেন, সেই সময়ে তিনি অনেকবার দেখিয়া- ছিলেন যে, ইউরোপীয়দিগের ভাষারা পাল্কি করিয়া আসিয়া পূজা। দিয়া গিয়াছেন; কিন্তু আমার বোধ হয়, এই সকল রমণী ভারত- বর্ষেই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু সেই ব্রাহ্মণ বলিলে, মন্দিরাধিকারীর তাঁহাকে দৃঢ়তার সহিত নিশ্চয় করিয়া বলিয়াছেন যে সাহেবেরা সর্বদাই দেবীর পূজা দিয়া তাহার নিকট বর প্রার্থনা করেন, এ সংপ্রতি কোম্পানির একজন সাহেব কর্মচারী একটা মোকদ্দমায় জয়লাভ করিয়া দুই তিন হাজার টাকা ব্যয় করিয়া কালীর পূজা দিয়া গিয়াছেন।....তদ্ভিন্ন ইহাও দৃঢ়তার সহিত কথিত হইয়া থাকে যে, প্রতিমাসে প্রায় চার পাঁচ শত মুসলমান কালীর পুজা দিয়া থাকে।”
পাদরি ওয়ার্ড সাহেব পুনরপি বলিয়াছেন—“এই মন্দিরের জন্যই কালীঘাটে লোকসংখ্যা এত অধিক; কারণ প্রায় ৩০ ঘর সেবাইত ভিন্ন ন্যুনাধিক ২০০ ব্যক্তি এই মন্দির উপলক্ষ করিয়া জীবিকা অর্জন করিয়া থাকে। কোন কোন সেবাইতের পালা একদিন, কাহারও অর্ধদিন, কাহারও দুই তিন ঘণ্টা মাত্র: যাহার পালার সময়ে যে কিছু পূজার সামগ্রী অর্পিত হয়, তৎসমস্তই তিনি