সব্বাপেক্ষা ধনাঢ্য বণিক বলিয়া প্রসিদ্ধ। ইহারা প্রধানতঃ কাপড় ও জহরতের কারবার করিয়া থাকেন।
রামকৃষ্ণ পরমহংসের উপদেশ-প্রভাবে আর একটি ধৃতৰ ধর্ম্ম- সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হইয়াছে। রামকৃষ্ণের শিষ্যেরা তঁহাকে অব- তার বলিয়া বিশ্বাস করেন। তাহার শিষ্যগণের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দই বিলক্ষণ প্রসিদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিলেন। তাহার যত্নে ভাগীরথীর অপর পারে বেলুড় নামক স্থানে একটি মঠ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। প্রতি বৎসর এই স্থানে রাম-কৃষ্ণোৎ সব নামে একটি মহোৎসব হইয়া থাকে; সেই সময়ে বহুসংখ্যক হিন্দু এই স্থানে সমবেত হন। এই নব সম্প্রদায়ের অনেকেই লোকহিতকর কার্যে আত্মোৎসর্গ করিয়াছেন।
কলিকাতা বদান্যতার জন্য প্রসিদ্ধ। পুরবাসিগণের এক এক জনেরদানশৌণ্ডতার বিষয় পৃথকৃভাবে আলোচনা করা সহজ নয়। সেকালের ন্যায় একালেও দানধ্যানের কার্য্য সুস্পষ্ট দৃশ্যমান। নৌ সেনাধ্যক্ষ ওয়াটসন সাহেবের চিকিৎসক ও বন্ধু, সদাশয় এভোয়ার্ড আইভিস তাঁহার সময়ে (৭৫৬-৫৭) কলিকাতায় বদান্যতার যেরূপ প্রাদুর্ভাব দেখিয়াছিলেন তৎসম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন:—
“আমাদের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বসতিস্থানে যেরূপ উদারতার সহিত দানপ্রবৃত্তির চরিতার্থতা সাধন করা হইয়া থাকে, ভুমণ্ডলের আর কোনও অংশে যে সেরূপ হয়, ইহা নির্দেশ করা সম্ভবপর নয়। বহু দুই পরিবারের প্রকৃত ক্লেশ বিমোচনের নিমিত্ত চাদা দ্বারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রভূত অর্থ সংগৃহীত হইয়া ঐ কার্য্যে নিয়োজিত হইয়াছে। এরূপ বিস্তর দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করা যাইতে পারে।”
কলিকাতায় যে বিবিধ লোকহিতকর দাতব্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা