এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়
১১৯
বদান্যতায় ইহার উপকারিতা সমধিক পরিমাণে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে; চুনীলাল শীলের আউট ডোর ডিস্পেন্সারি উক্ত মহানুভব দাতার বহু লোকহিতকর কার্য্যের একটি সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।[১]
- ↑ কথিত আছে যে, যে দিন হিন্দু ছাত্র মধুসূদন গুপ্ত মানবদেহের প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করেন, সেই দিন ফোর্ট উইলিয়ামের দুর্গাকার হইতে তাহার সম্মানার্থ তোপধ্বনি হইয়াছিল। মধুসূদনের চিত্রপট অদ্যাপি মেডিক্যাল কলেজের শবব্যবচ্ছেদাগারে দেখিতে পাওয়া যায়। জে, ডবলিউ, কে, সাহেব লিখিয়াছেন:—
“যখন লর্ড বেণ্টিঙ্ক প্রথম ভারতে পদার্পণ করিলেন, তম বুদ্ধিমান ও বহু- দর্শী লোকেরা মস্তক কম্পিত করিয়া বলিতে লাগিল, ভারতবাসীদিগের পক্ষে স্পর্শই যখন। যৎপরোনাতি ঘৃণাজনক, তখন তাহাদিগকে ইউরোপীয় ছাত্রগণের ন্যায় শবব্যবচ্ছেদাগারে শারীর-বিজ্ঞান শিক্ষা করিতে প্রতি করা অসাধ্য হইবে। পরন্তু তাঁহার যত্নে এ বিষয়টি পরীক্ষিত হইল। কেবল যে পরীক্ষিত হইল তাহা নহে, পরীক্ষায় সফলতা লাভ হইল। কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হইল; এবং সর্বোচ্চজাতীয় হিন্দুরা শারীরবিদ্যা শিক্ষা করিতে লাগিল; শিখিতে লাগিল,—মোম বা কাঠের আদর্শ হইতে নহে প্রকৃত মানবদেহ হইতে। প্রারম্ভ খুব স্বল্পই হইয়াছিল বটে, কিন্তু উহার ক্রমোন্নতি দেখিয়া সকলে বিস্মিত হইল। এখন বৎসরের হিসাব রাখা হইয়া- ছিল। ঐ বৎসরে ১৮৩৭ সালে— ছাত্রদের সমক্ষে ৬০টি শবদেহের ব্যবচ্ছেদ করা হয়। পর বৎসর ঐ সংখ্যা ঠিক দ্বিগুণিত হইয়াছিল। ১৮৪৪ সালে শবসংখ্যা পাঁচ শতেও অধিক হইয়াছিল। কলেজটী অত্যন্ত লোকপ্রিয় হইয়া উঠিল। দেশীয় যুবকদিগের ঔষধ-চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞানলাভের প্রবল বাসনা সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হইতে লাগিল।”
১৮৪৪ অকে সেই সুশিক্ষিত ও বদান্য দেশীয় ভদ্রলোক দ্বারকানাথ ঠাকুর মেডিক্যাল কলেজের দুইজন ছাত্রকে নিজ ব্যয়ে ইংল্যাণ্ডে লইয়া যাইয়া তথায় তাহাদের শিক্ষার সমস্ত ব্যভার বহন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করি- নেন। কলেজের অন্যতম অধ্যাপক ডাক্তার গুভীডও নিজ বায়ে আর