তাঁহাদিগের উপর প্রভূত অনুগ্রহ ও অধিকার অজস্র বর্ষণ করিয়াছিলেন।
কোম্পানী; অংশীদারদিগের মধ্যে প্রথমতঃ পঞ্চশ জন ও তৎপরে চতুর্বিংশ জন, নির্বাচিত করিয়া একটি কমিটির গঠন হইল। কমিটি’ হইলেই তাঁহার একজন সভাপতি থাকা আবশ্যক। এ কমিটিতেও একজন সভাপতি হইলেন। এই কমিটির নাম হইল কোর্ট অব ডিরেক্টর” (অর্থাৎ পরিচালকগণের সম্ভা)। নবগঠিত ডিরেক্টর স ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর যাবতীয় বিষয় কর্মের তত্ত্বাবধান করিতেন। এই সভা তিন ভাগে বিভক্ত হইয়াছিল,—প্রথম ভাগ কোম্পানীর আয়ব্যয়সম্পর্কীয় যাবতীয় বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিতেন, দ্বিতীয় ভাগ রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ে কর্তৃত্ব করিতেন, এবং তৃতীয় ভাগ রাজ্যশাসন ও বিচারসম্বন্ধীয় কার্যের তত্ত্বাবধান করিতেন। এই তিন বিভাগের প্রত্যেকটীতে আটজন করিয়া সদস্য থাকিতেন। এতদ্ভিন্ন আর একটি গুপ্ত ‘কমিটি’ ছিল। সমরঘোষধা, সন্ধিস্থাপন এবং অপরাপর রাজনৈতিক ব্যাপারের পরিচালনার এই কমিটির হস্তে ব্যস্ত ছিল। বলা বাহুল্য যে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাবের উৎপত্তি ও বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উহার আইন, নিয়ম ও বিধিসমূহ প্রসারিত ও অবস্থানুসারে পরিবর্তত হইতে লাগিল। পরন্তু শরতে কোম্পনীর রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত প্রকৃতপক্ষে ১৭৫৬ অব্দে আবদ্ধ হইয়াছিল, এ কথা বলা যাইতে পারে।
১৭৮; খৃষ্টাব্দে পার্লামেণ্ট মহাসভা ‘বোর্ড অব কনৃট্রেল” নামে একটি সমিতির গঠন করিলেন। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ডির ক্টর সভা যে সকল রিজোলিউশন পাশ করিতেন, সেইগুলির তত্ত্বাব-