কোন বালক বিনাব্যয়ে আহার্যও প্রাপ্ত হয়। মতিলাল শীল অতি হীনাবস্থা হইতে প্রচুর বিভবশালী হইয়াছিলেন। তিনি ধর্মপরায়- ণতা ও অকুণ্ঠিত দানশীলতার জন্য সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁহার ন্যায় উদারহৃদয় বিশ্বপ্রেমিক অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। তিনিই কলুটোলার বিখ্যাত শীলবংশের আদি পুরুষ।
কলিকাতায় বিদ্যালয় সংস্থাপনে ব্যক্তিবিশেষ কিরূপ চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন, আমরা এতক্ষণ তাহারই কথা বললাম। অতঃপর এতৎপক্ষে মিশনারি ও অন্যান্য সম্প্রদায় এবং রাজপুরুষেরা কিরূপ উদ্যমশীলতার পরিচয় দিয়াছেন, তৎসম্বন্ধে সংক্ষেপে দুই চারি কথা বলিতে চেষ্টা করি। এ সম্বন্ধে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলে সর্ব্বপ্রথমে “মহাপাঠশালা” বা কলিকাতার “হিন্দু-কলেজ” নামক বিদ্যালয়ের নামোল্লেখ করা আবশ্যক। হিন্দুসন্তানগণের উচ্চশিক্ষার নিমিত্ত একটি বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠা ও তাহার জন্য অর্থ সংগ্রহ করিবার উদ্দেশ্যে ১৮১৬ সালের ৪ঠা মে[১] তারিখে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সার ঈ, হাইড় ঈষ্ট মহোদয়ের ভবনে সম্ভ্রান্ত হিন্দুদিগের একটি আনুষ্ঠানিক সভার অধিবেশন হয়। প্রধান বিচারপতি সভার কার্য্য আরম্ভ করিবার সময়ে মুখবন্ধে এইরূপ বিদ্যালয়ের উপকারিতা সবিস্তারে বর্ণন করিয়া শ্রোতৃবর্গকে ঐ বিষয়ে উৎসাহশীল হইতে অনুরোধ করেন। তাঁহার প্রস্তাব
- ↑ কেহ কেহ বলেন ১৪ই মে। কিন্তু রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুর বলেন, তিনি পরলোকগত রাজা সার রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের আলমারিতে উক্ত সভার কার্যবিবরণের যে অনুলিপি দেখিয়াছেন, তাহাতে ৪ঠা মে তারিখ আছে; রাজা রাধাকান্ত হিন্দু-কলেজের গভর্ণর এবং তাহার পিতা উহার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।