ধান করাই এই নবগঠিত সমিতির প্রধান কর্তব্য স্থিরীকৃত হয়। ইংরেজাধিকৃত ভারতসাম্রাজ্যের শাসনের ভারার্পণ পশ্চাল্লিখিতরূপ হয় যথা:—
১। পার্লামেণ্টের হস্তে। এরূপ স্থলে এই কথাটিতে ইংলণ্ডেশর এবং হাউস অব লর্ডস্ ও হাউস অব কমন নামক দুইটি সমাজ বুঝায়। কোনও আইন করিতে হইলে, ইহাদের সম্মিলিত অনুমোদন আবশ্যক।
২। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ৬০ ০০,০০০ পাউণ্ড মূলধনের মধ্যে যাহাদের কোনও নির্ধারিত পরিমাণ অংশ আছে, এরূপ অংশীদারদিগের দ্বারা নির্বাচিত কোর্ট অব ডিরেক্টর নমক সভারহস্তে।
৩। ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের অংশীভূত বোর্ড অব কণ্ট্রোল নামক মন্ত্রিসমাজের হস্তে।
৪। ভারতবর্ষে গবর্ণর-জেনারেলের হস্তে। তিনি কলিকাতায় থাকিবেন, এবং অধিকিন্তু বাঙ্গালা প্রেসিডেন্সির প্রাদেশিক শাসনকর্তা হইবেন।
৫। অবশিষ্ট তিনটি প্রেসিডেন্সির—অর্থাৎ মাদ্রাজ, বোম্বাই ও আগ্রা[১] প্রদেশের তিন গবর্ণরের হস্তে।
১৮৩৩ অব্দে পার্লামেণ্ট পশ্চাল্লিখিতরূপ নিয়ম করিয়া কোম্পানীর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিলেন:—
১। কোম্পানীর কেবল রাজনৈতিক অধিকারগুলি থাকিবে। ‘ অর্থাৎ বোর্ড অব কণ্ট্রালের তত্ত্বাবধানাধীনে ভারসাম্রাজার শাসনকার্য পরিচালন করিবেন।
- ↑ ১৮৪০ অব্দে বা তৎসমকালে আগ্রা প্রেসিডেন্সী বাঙ্গলা প্রেসিডেন্সি হইতে স্বতন্ত্র হইয়া পড়িল।