পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
কলিকাতার ইতিহাস।

অভাবসমূহের নির্ধারণ এবং তৎপ্রতিকারের পন্থা নির্দেশ করাই এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল। যাহারা গবর্ণমেণ্টের শিক্ষানীতির বিস্তৃত বিবরণ জানিতে ইচ্ছা করেন, আমাদের অনুরোধ, তাহারা ভারত-বর্ণমেণ্টের হোম ডিপার্টমেণ্ট হইতে ১৯০৪ সালের মার্চ মাসে প্রচারিত রিজোলিউশন পাঠ করুন।

 বর্তমান সময়ে কলিকাতায় খাস গবর্ণমেণ্টের, মিশনারি সম্প্র- দায়সমুহের এবং বেসরকারী ভদ্রলোকদিগের অনেকগুলি প্রথম শ্রেণীর কলেজ আছে। ইহাদের মধ্যে কয়েকটি কলেজের কথা ইতঃপূর্বেই বলা হইয়াছে। দেশীয়দিগের প্রথম শ্রেণীর কলেজ- গুলির মধ্যে পরলোকগত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত মেট্রপলিটান্ ইনষ্টিটিউশন ১৮৭৯ সালে, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠিত সিটি কলেজ ১৮৮১ সালে, বাবু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায়ের এতিষ্ঠিত রিপন কলেজ ১৮৮৪ সালে, ও বাবু খুদিরাম বসুর প্রতিষ্ঠিত সেণ্ট্রাল কলেজ ১৮১৬ সালে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। তভিন্ন বঙ্গবাসী কলেজ প্রথমে ১৮৮৭ সালে বিতীয় শ্রেণীর কলেজরূপে এবং ১৮৯৬ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজ- রূপে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে।

 স্থলে প্রাতঃস্মরণীয় পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া আবশ্যক। তাঁহার পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যো- পাধ্যায়, বর্তমান মেদিনীপুর (তদানীন্তন হুগলি জেলার অন্তর্গত বীরসিংহ গ্রামে ১৮২০ খৃষ্টাব্দে তাহার জন্ম হয়। ১৮২৯ সালের ১লা জুন তারিখে তিনি সংস্কৃত কলেজে প্রবিষ্ট হইয়া ১৮৪১ অব্দ পর্যন্ত তথায় অধ্যয়ন করিয়া বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। পরে তিনি ১৮৪১-৪২ অব্দ হইতে ১৮৫৮ অব্দ পর্যন্ত মাসিক