প্রমাণিত হইয়াছে যে, দেশীদিগকে তিন চারি বৎসরে সংস্কৃত শিখান যাইতে পারে। পূর্বে বালকগণ চারি পাঁচ বৎসর সংস্কৃত ব্যাকরণ অধ্যয়নে নিযুক্ত থাকিয়াও ঐ শাস্ত্রে কয়েকটি সরল সূত্রের অধিক অগ্রসর হইতে পারিত না, কিন্তু এক্ষণে সেই স্কুলে তিন মাস শব্দরূপ ও ধাতুরূপ পড়িয়া তাহার সহজ সহজ সংস্কৃত বাক্য পড়িতে আরম্ভ করে, এবং, তংপরে সাধারণ সাহিত্য ও কাব্য অধ্যয়ন করিয়া আপনাদের মনকে উন্নত করে। ঈশ্বরচত্রের উন্নতপ্রণালীর বিষয় সবিশেষ অবগত হইতে হইলে সাধারণ-শিক্ষা-কমিটীর ১৮৫২ সালের রিপোর্ট পাঠ করা আবশ্যক। তাহার কৃত প্রথম শিক্ষার সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যপাঠ সম্বন্ধীয় গ্রন্থ ছাত্রগণকে বাঙ্গালা ভাষায় বিশেষ বাগ-বিন্যাস-প্রণালী ও শব্দের ব্যুৎপত্তি বিষয়ে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞ করিবার ও পারিভাষিক শব্দসমুহে তাহাদের বিশিষ্ট জ্ঞান জন্মাইবার প্রকৃষ্ট উপায় বলিয়া সেগুলি কলিকাতার প্রধান প্রধান মিশনরি বিদ্যালয়ে ও মফস্বলের অনেক স্কুলে পাঠ্যপুস্তক রূপে প্রচলিত হইয়াছে। দেশীয়েরা স্বয়ংই এক্ষণে মুগ্ধবোধকে ক্রমশঃ সরাইয়া দিতেছে। যে ডাক্তার ব্যালাণ্টাইন বেকনকে কাশীর পণ্ডিতমণ্ডলীর সুবোধ্য করিয়াছেন, তাঁহার নামের সহিত এবং সেহোরের উইলকিনসনের নামের সহিত ঈশ্বরের নামও ভবিষ্যবংশীয়দিগের নিকট চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে।”
এই পূজনীয় পণ্ডিতের পাদমূলে বসিয়া তাহার জীবনচরিত পর্যালোচনা করিলে সুস্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারা যায় যে, “সাধু মানবই ঈশ্বরের উচ্চতম সৃষ্টি এই মহাৰাক্যের সত্যতা ঈশ্ব- রের জীবনে যেরূপ প্রমাণিত হইয়াছে, তেমন বুঝি আর কাহারও জীবনে হয় নাই। ইনি দরিদ্রের গৃহে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বটে,