বন্যায় প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান্ দলিলপত্র সমস্ত নষ্ট হইয়া গিয়াছিল এবং উই পোকাতেও অনেক মূল্যবান কাগজপত্র খাইয়া নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছিল। কেহ কেহ এমন কথা বলিয়াও অনুযোগ করেন যে, অধস্তন কর্মচারীদিগে তাচ্ছীল্য ও অনবধানতায় মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হইয়াছিল। যে অবস্থা বা কারণ পরম্পরায় ঐ সকল বহু মূল্য কাগজ পত্র নষ্ট হইয়া থাকুক না কেন, কোনরূপ হেতুবাদেই তাহার মার্জনা হইতে পারে না। পরন্তু ইহাও অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে, উর্ধতন কর্মচারীদিগের অনুচিত প্রশ্রয়প্রদান এবং তাঁহাদের অনবধানতা এই গুরুতর ক্ষতির অন্যতম প্রধান কারণ। সে যাহা হউক, হলওয়েল সাহেব বলেন, যে, ১৭৩২ সাল হইতে তিনি কাগজপত্র রক্ষার দিকে প্রকৃতপ্রস্তাবে আন্তরিকভাবে দৃষ্টি রাখিতে আরম্ভ করেন। তিনি লিখিয়াছেন ঃ এদিকে দৃষ্টি করিবার আমার অধিক অবসর ছিল না। কিন্তু তথাপি যে কিছু সামান্য অবসর পাইয়াছি, তাহাতে যতদূর হইয়া উঠে, আমি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত অবশিষ্ট পুরাতন দলিলপত্র গুছাইবার সময়ে, যে সকল কাগজপত্রে ইহার পুর্ব্ব-ইতিহাসের কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইতে পারে, সেগুলি খুঁজিয়া বাহির করিতে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিয়াছি। পরন্তু কাগজপত্রগুলি বহু বৎসর ধরিয়া আফিসে বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়িয়া আছে। আবার আর্দ্রতায় উই পোকার এবং অনবধাততায় ক্রমশঃ উহার অনেক নষ্ট হইয়া গিয়াছে।”
কলিকাতার ইতিবৃত্তের উপাদান সংগ্রহের অভিলাষী হইলে প্রধানত ভারতীয় আফিসের লাইব্রেরীতেই অনুসন্ধান করা আবশ্যক। জনৈক লেখক লিখিয়াছেন;—লণ্ডন নগরের ইণ্ডিয়ান