পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৮
কলিকাতার ইতিহাস।

কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে স্থাপিত হয়। এই বিদ্যালয়ের সহিত মহিলা অধ্যক্ষ ও ছাত্রীদিগের থাকিবার জন্য একটা বাসভবন সংলগ্ন আছে। বিদ্যালয়টি অধুনা প্রথমশ্রেণীর কলেজরূপে পরিণত হইয়াছে। এখানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম, এ, পরীক্ষার পাঠ্য পর্যন্ত পড়ান হইয়া থাকে। রাজা সার রাধাকান্ত দেব বাহাদুরও স্ত্রীশিক্ষার উন্নতিকল্পে যথেষ্ট সহায়তা করিয়াছিলেন। বেখুন সাহেব তৎসম্বন্ধে বলিয়াছিলেন ঃ—“বালিকাদিগকে একে বারে সম্পূর্ণ মুখ করিয়া রাখা যে নিতান্ত নির্বুদ্ধিতা ও দোষের কার্য্য এবং উহা যে হিন্দুশাস্ত্রের আদিষ্ট বা অনুমোদিত নহে, একথা আধুনিক কালে ভারতবাসীদিগের মধ্যে আপনিই সর্ব- প্রথমে বুঝাইয়া দিয়াছেন। এজন্য আপনি যথার্থ প্রশংসাৰ্হ; আমি এক্ষণে আপনাকে সেই ধন্যবাদ প্রদান করিতে সমুৎসুক হইয়াছি।” রাজা রাধাকান্ত দেবের বংশে স্ত্রী-শিক্ষা বিস্তার চেষ্টা তাহার নূতন নহে; তাঁহার প্রখ্যাত পূর্বপুরুষেরাও এ বিষয়ে বিলক্ষণ অনুরাগী ছিলেন। পাদরি ওয়ার্ড সাহেব বলিয়া- ছেন যে, রাজা নবকৃষ্ণের পত্নীরা বিদুষী বলিয়া প্রসিদ্ধা ছিলেন।

 আরও অনেক বিখ্যাত ভারতবাসী এ বিষয়ে প্রভূত শ্রম স্বীকার করিয়া বিলক্ষণ আনুকূল্য করিয়া গিয়াছেন। পরলোক গত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাবু প্যারীচাঁদ মিত্র, বাবু প্যারীচরণ সরকার প্রভৃতি খ্যাতনামা মহাত্মারা স্ত্রী-শিক্ষাবিস্তারের পক্ষপাতী হইয়া বিস্তর সাহায্য করিয়াছেন। মিশনরি সম্প্রদায়- গণও এ বিষয়ে যে সকল মহৎ কার্য্য করিয়াছেন, তাহাও অতীৰ প্রশংসনীয়। তাঁহারা কলিকাতার সর্বত্র ও তন্নিকটবর্তী স্থান- সমূহে হিন্দু অধিবাসীদিগের বাসভবনে যে সকল শিশু ও বালিকা-