তাহারই ভবনে ইহা প্রথমে স্থাপিত হয়। এল, লিয়টাভ সাহেব, পরলোকগত বাবু ক্ষেত্রগোপাল চক্রবর্তী এবং রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব এই তিন জনই ইহার প্রাণপ্রতিষ্ঠাতা। তৎকালে প্রতীচ্য পণ্ডিত মসীর নিকট বাঙ্গালা ভাষাকে পরিচিত করিয়া দেওয়া এবং তৎ- প্রতি তাহাদের অনুরাগ উক্তি করা, ইহার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। মানয়ীয় অধ্যাপক মাকস মুলার ও জন বিমূস্ ইহার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। এই সময়ে অধি- কাংশ খ্যাতনামা বাঙ্গালা লেখকগণের মতানুসারে ইহার কার্য- বিবরণীতে ইংরেজী ভাষার পরিবর্তে বাঙ্গালা ভাষার ব্যবহারই স্থিরীকৃত হইল। রাজা বাহাদুরের অনুরোধে পরলোকগত পণ্ডিত উমেশচন্দ্র বটব্যাল ইহার নাম “বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ” রাখেন। এই সভার বেশ আয় দাঁড়াইয়াছে, নিজের আয়েই ইহার ব্যয় নির্বাহ হইয়া থাকে। এক্ষণে কর্ণওয়ালিস স্ত্রীটে একটা বাটীতে ইহার কার্য্য হইয়া থাকে, কিন্তু শীঘ্রই সভার নিজের বাটী নির্ম্মিত হইবে।
সাহিত্য-সভা:—ইহাও রাজা বিনয়কৃষ্ণ বাহাদুরের ঐকান্তিক যত্নে ও অর্থানুকূল্যে এবং তাহারই বাটীতে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ইহার অনুষ্ঠাতৃগণের মধ্যে রায় রাজেন্দ্রচন্দ্র শাস্ত্রী এম, এ, বাহাদুর, মহারাজকুমার শৈলেন্দ্রকৃষ্ণ দেব বাহাদুর, মাননীয় জষ্টিস সারদাচরণ মিত্র, পরলোকগত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার, মহামহোপাধ্যায় কামাখ্যানাথ তর্কবাগীশ, পণ্ডিত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ, রায় বাহাদুর ডাক্তার চুনিলাল বসু, রায় বাহাদুর ডাক্তার সূর্য্যকুমার সৰ্বাধিকারী, বাবু শশিভূষণ চট্টোপাধ্যায়, বাবু অমৃতলাল বসু, বাবু নরেন্দ্রনাথ সেন, পণ্ডিত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি প্রমুখ শিক্ষিত মহোদয়গণের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ইতিহাস, ভূগোল-