তৎপরবর্তী পাঁচ বৎসরের প্রতি বর্ষের গড় অর্থাগম অপেক্ষা ১৬, ৭০০ পাউণ্ড ২ শিলিঙ ৩ পেন্স অধিক হইয়াছিল।
মিলবর্ণ সাহেব বলেন, ইংরেজদিগের পোতপরিচলনে অধিক তর নৈপুণ্য দেখিয়া বঙ্গদেশের সর্ব্বশ্রেণীর বণিকগণ তাহাদের বিদেশে রপ্তানি-যোগ মাল ১৭১৫ সাল হইতে ইংরেজদিগের জাহাজে বোঝাই দিতে লাগিল; ঐ সকল মাল দৌত্যের পরবর্তী দশবৎসরে মোট ১০,০০০ টন হইয়াছিল; তাহাতে অনেক লোকই কোম্পানির বাণিজ্যের ক্ষতি না করি অথবা তাহাদের সম্পত্তি লইয়া গবর্ণমেণ্টের সহিত বিবাদ না করিয়াও প্রচুর লাভবান হইয়াছিল, এবং কলিকাতার সর্বশ্রেণীর প্রজা এরূপ স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করিতে লাগিল যে, বঙ্গের অন্যান্য যে সকল প্রজা নবাবের অত্যাচারপূর্ণ শাসনাধীন ছিল, তাহারা তাহা অনুভব করিতে পারে নাই। ১৭৯৫ খৃষ্টাব্দের সমকালে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বাঙ্গালা প্রেসিডেন্সির বর্হিবাণিজ্যের বিবরণ সংগ্রহ করিবার নিমিত্ত একজন রিপোর্টার নিযুক্ত করেন এবং কিরূপ প্রণালীতে হিসাব রাখিতে হইবে, তাহার সবিশেষ উপদেশ প্রদান করেন। তদবধি বঙ্গের আমদানি ও রপ্তানি পণ্যদ্রব্য ও ধনের পরিমাণের সুস্পষ্ট ও বিস্তৃত বিবরণ এবং আমদানি রপ্তানি মালের নামের তালিকা প্রতি বৎসর প্রস্তুত হইয়া ইউরোপে প্রেরিত হইয়া আসিতেছে।
বাঙ্গালা প্রেসিডেন্সির বাণিজ্য পশ্চাল্লিখিত কতিপয় বিভাগে বিভক্ত; যথা,—
১। লণ্ডনের সহিত বাণিজ্য (ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য ব্যতিরিক্ত); ইহার সহিত কোম্পানির, জাহাজের অধ্যক্ষ ও