মতি লাভ করিতে পারে নাই। ১৭৯৩ সালের আইন বিধিবদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ভারত ও চীনের সহিত বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার ছিল। সুতরাং কোনও সাধারণ ব্যক্তিকেই তাহার নিজ হিসাবে বাণিজ্য করিতে দেওয়া হইত না। যদি কেহ কোম্পানীর সুস্পষ্ট অনুমতি না লইয়া বাণিজ্য করিত, তাহা হইলে সে নির্বাসনদণ্ডে দণ্ডনীয় হইত, এবং তাহাকে ‘ইণ্টার্লোপার’ (অর্থাৎ অধিকারে বাণিজ্যকারী) বণিত। ওয়াটার হামিলটন সাহেব লিখিয়াছেন:—
“কলিকাতা হইতে দেশের অভ্যন্তর ভাগে নানা স্থানে নৌচালনের বিলক্ষণ সুবিধা আছে, বিদেশের আমদানি মাল গঙ্গা ও তাহার তেরঙ্গাসমুহ দিয়া হিন্দুস্থানের উত্তরাংশে নানা স্থানে অনারাসে লইয়া যাওয়া যাইতে পারে, এবং মফস্বলের মূল্যবান উৎপন্ন দ্রব্যসমূহও ঐ পথ দিয়া কলিকতায় আনান যাইতে পারে পরন্তু হুগলী-সেতু ও ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ের নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য এতাদৃশ অধিকপরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে যে, কস্মিনকালেও সেরূপ হয় নাই। উত্তরকালে নির্মিত অন্য অনেক রেলওয়ের সহিত ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ের সংযোগ হইয়াছে। হুগলীসেতু ‘ক্যাণ্টিলিভার’ (লম্বমান) প্রণালীতে নির্মিত; উহা চিরকালই ঐ প্রণালীর একটা চমৎকার নিদর্শন হইয়া থাকিবে। ইহাতে তিনটি খিলান আছে; তন্মধ্যে মধ্যবর্তী খিলানটি নদীর মধ্যস্থলে দুইটি সুদৃঢ় পিল্লার উপর অবস্থিত; আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় খিলান নদীর দুই তীর হইতে বহির্গত হইয়া মধ্যস্থিত খিলানের দুই প্রান্তের উপর অবস্থিতি করিতেছে, তাহাদের নিজের স্বতন্তু পিল্লা নাই। এইরূপে নদীর উভয়তীরস্থ দৃঢ় পাকাগাঁনি